ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ আরেকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১।
উদ্ধার অভিযানের পঞ্চম দিন মঙ্গলবার সকালে ৮টার দিকে সুগন্ধা নদীর লঞ্চটার্মিনাল এলাকায় মরদেহটি ভেসে ওঠে। পরে সেটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ফায়ার ফাইটার আলামিন নিউজবাংলাকে জানান, মরদেহটির মুখ ঝলসানো। পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সেটি ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
লঞ্চঘাট এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হক খলিফা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লঞ্চটার্মিনালের সামনে আগুনে পোড়া অভিযান-১০ লঞ্চের কাছেই মৃতদেহটি ভেসে ওঠে। তখনও ফায়ার সার্ভিসের টিম বরিশাল থেকে এসে না পৌঁছায়, স্থানীয়রা দড়ি বেঁধে ট্রলার দিয়ে টেনে মরদেহটি তীরে নিয়ে আসে। সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।’
এ নিয়ে দুটি ভেসে ওঠা মরদেহ উদ্ধার করা হলো। সবশেষ উদ্ধার হওয়ার ব্যক্তির বয়স ৩০ বছর বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার পরনে ছিল কালো রঙের শার্ট ও প্যান্ট।
ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় সুগন্ধা নদীতে ২৩ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চ আগুনে পুড়ে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জন নিখোঁজ থাকার তথ্য রয়েছে।
পুড়ে যাওয়া লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিল, তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বলছে, লঞ্চটিতে অন্তত ৪০০ যাত্রী ছিল।
তবে লঞ্চ থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অনেকে দাবি, নৌযানটিতে যাত্রী ছিল ৮০০ থেকে এক হাজারের মতো।