গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় একটি কেন্দ্রের ফলাফল বাতিলসহ পুনরায় ভোটের দাবিতে আধাবেলা হরতাল পালিত হচ্ছে।
চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে মহিমাগঞ্জের সিংজানি কেন্দ্রে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
মহিমাগঞ্জ বাজারসহ স্টেশন এলাকায় মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে হরতাল শুরু হয়েছে, যা দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইজার উদ্দিন।
তিনি জানান, হরতালে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। হরতাল সমর্থন করে মহিমাগঞ্জ বাজারে কিছু দোকানপাট বন্ধ থাকলেও রাস্তায় সব ধরনের যানবাহন স্বাভাবিক চলছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে সোমবার রাত ৯টার দিকে ওই কেন্দ্রের ফলাফল বাতিলসহ পুনরায় ভোটের দাবিতে হরতালের ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজওয়ানুর রহমান মুন্সি, স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম কাদির (আনারস) ও রুবেল আমিন (মোটরসাইকেল)।
তাদের অভিযোগ, ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মহিমাগঞ্জ ইউপির সিংজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নানা অনিয়মের মধ্যে ভোট সম্পন্ন হয়। তাই ফলাফল বাতিলসহ পুনরায় ভোটের দাবি তাদের।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম প্রধান বলেন, ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই মহিমাগঞ্জ ইউপির প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোট সম্পন্ন হয়েছে। জনগণের ভোটেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি।
‘পরাজিত প্রার্থীরা মনগড়া নানা অভিযোগ করে মহিমাগঞ্জে অশান্তি তৈরির পাঁয়তারা করছেন। অযৌক্তিক এই হরতালে জনসাধারণের সমর্থন নেই।’
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে মহিমাগঞ্জ ইউপির ৯টি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী চশমা প্রতীকের (আ.লীগের বিদ্রোহী) স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম প্রধান ৭ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য তিন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের রেজওয়ানুর রহমান মুন্সি নৌকা প্রতীকে ৫ হাজার ৩০৯, স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম কাদির আনারস প্রতীকে ৬ হাজার ৫৫১ ও রুবেল আমিন শিমুল মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪ হাজার ৬৯৬ ভোট পান।
ইউনিয়নে মোট ৩১ হাজার ৭৬৫ ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ২৪ হাজার ৬৬১ জন।