বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাসে ট্রেনের ধাক্কা: নিহত চারজনই পথচারী

  •    
  • ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০৩

নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার কামরুল হাসান বলেন, ‘রেলওয়ের ঢাকা বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সোমবার পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে রেলওয়ের কারো বিরুদ্ধে অবহেলা বা অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

নারায়ণগঞ্জ শহরের ১ নম্বর রেলগেট এলাকায় বাসে ট্রেনের ধাক্কায় শিশুসহ নিহত চারজনই ছিলেন পথচারী। ঘটনার সময় ওই এলাকা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন তারা। এমনকি আহতরাও সবাই পথচারী।

দুর্ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর আগে ঘটনার পরপরই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- হকার ভট্ট রাম দাস, নিরাপত্তা প্রহরী আবুল কালাম, আট বছরের রিফাত হোসেন ও বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মেজবাউদ্দীন।

নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মোখলেসুর রহমান জানান, দুর্ঘটনায় নিহত চার জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে থানায় দুটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

সদর মডেল থানার ওসি শাহ জামান বলেন, ‘ঘটনাটি যেহেতু রেলওয়ের এলাকায় সেহেতু নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও মামলা করতে চাইলে রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করতে হবে। রেল পুলিশই মামলার তদন্ত করবে।’

নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার কামরুল হাসান বলেন, ‘রেলওয়ের ঢাকা বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সোমবার পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করবে। তদন্তে রেলওয়ের কারো বিরুদ্ধে অবহেলা বা অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এদিকে দুর্ঘটনার পরপরই পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। ওই কমিটির সদস্য সোমবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার বলেন, ‘প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে কমিটি কাজ শুরু করেছে। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ ও কাদের অবহেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং পরবর্তীতে যেন এমন দুর্ঘটনা না ঘটে সেদিক মাথায় রেখেই তদন্ত কাজ চলছে। তদন্ত শেষে ঘটনার প্রকৃত কারণ তুলে ধরে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে সুপারিশ করা হবে।’

নিহত ভট্ট রাম দাসের স্বজনরা জানান, তিনি পাড়া-মহল্লায় সন্দেশ বিক্রি করে সংসার চালাতেন। রোববার সারাদিন সন্দেশ বিক্রি শেষে বাজার করে সন্ধ্যায় বন্দরের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে দুর্ঘটনার শিকার হন।

আহত নুরু মিয়ার স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শী ইব্রাহিম মিয়া জানান, ঘটনার সময় রাস্তায় যানজট ছিল। এ কারণে বাসের চালক আহত নুরু মিয়া তার গাড়িটি দূরে রেখে হেঁটে টার্মিনালে যাচ্ছিলেন। তিনি রেল ক্রসিংয়ের সামনে গেলে দুর্ঘটনার শিকার হন। পরে তাকে নিয়ে আমি হাসপাতালে যাই। এরপর আরও কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে আনা হয় হাসপাতালে। পরে সেখানে থেকে সবাইকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।

তিনি আরও জানান, আহতরাও সবাই পথচারী। তারা রাস্তা পার হয়ে রেল ক্রসিংয়ের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর