ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভাইয়ের চিকিৎসা করাতে এসে ‘অজ্ঞান পার্টির’ খপ্পরে পরে নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খুইয়েছেন এক নারী।
ভুক্তভোগী হামিদা বেগমকে চেতনানাশক কিছু খাইয়ে অচেতন করা হয় বলে জানিয়েছেন তার বোন বকুল বেগম।
সোমবার বিকেলে এই ঘটনাটি ঘটে। পরে হামিদাকে জরুরি বিভাগে নিলে তার পাকস্থলি পরিষ্কার করে ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
হামিদার বোন বকুল জানান, নোয়াখালী কবির হাট এলাকায় নির্বাচনী সহিংসতায় তার ভাই আনোয়ার হোসেন গুরুতর আহত হন। স্থানীয় হাসপাতালে নিযলে চিকিৎসকরা তাকে পাঠান ঢাকা মেডিক্যাল। চিকিৎসকরা রাতে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করে।
বকুল বলেন, ‘আমরা রোগীর পাশে বারান্দায় অপেক্ষা করতে ছিলাম। এর মধ্যে হামিদাকে অচেতন করে নগদ ২০ হাজার টাকা, একটি মোবাইল ফোন, সঙ্গে থাকা ফলসহ একটি ব্যাগ নিয়ে গেছে।
২০০ নম্বর ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স রিয়া আক্তার বলেন, ‘কে বা কারা তাকে সুকৌশলে চেতনানাশক কিছু খাইয়ে অচেতন করে। আমি তাকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসি।’
হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোঃ বাচ্চু মিয়া জানান, সেই নারীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এর আগেও দেশের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালটিতে রোগীর স্বজনদেরকে কৌশলে অজ্ঞান করে সঙ্গে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র লুটের ঘটনা ঘটেছে। চিকিৎসা করাতে আসা রোগী বা তাদের স্বজনরা এমন বিপত্তিতে পড়লেও হাসপাতালটিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিতরা কখনও কাউকে ধরতে পারেনি।
গত অক্টোবরের তৃতীয় ও চতুর্থ সপ্তাহে পর পর কয়েকদিনে তিনটি ঘটনা ঘটেছিল হাসপাতালটিতে।
১৯ অক্টোবর হাসপাতালের গাইনি ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে জিনিপত্র খোয়ান এক রোগী ও তার দুই স্বজন।
চার দিন পর ২৩ অক্টোবর চাঁদপুর থেকে চিকিৎসা করাতে এসে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে টাকা-মোবাইল হারিন রাব্বি হোসেন নামের এক তরুণ।
স্বজনকে নিয়ে হাসপাতালে আসা নাসির মিয়া নামে একজন ২৬ অক্টোবর হাসপাতালের ২১২ নম্বর গাইনি ওয়ার্ডে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়ান।