নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাত প্রার্থীকে চূড়ান্ত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আফরোজা খাতুন।
সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৪ প্রার্থী এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচন কর্মকর্তা আফরোজা জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাসুম বিল্লাহ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির প্রার্থী মো. রাশেদ ফেরদৌস, খেলাফত মজলিসের প্রার্থী এ বি এম সিরাজুল মামুন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী জসিম উদ্দিন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুর বাবু।
এ নির্বাচনে প্রার্থিতা চূড়ান্তের শেষ দিন সোমবার কাউন্সিলর পদে ১৮ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এর মধ্যে একজন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিল প্রার্থী রয়েছেন।
তিনি জানান, মেয়র পদে যাচাই-বাছাই শেষে ছয়জন চূড়ান্ত হন। তবে আপিল করে ফিরে আসেন এক প্রার্থী। এ নিয়ে মোট সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এ পদে। এ ছাড়া সাধারণ কাউন্সিল পদে ১৬৫ জনের মধ্য ১৭ জন প্রত্যাহার করে নেয়ায় ১৪৮ প্রার্থী নির্বাচন করছেন।
সংরক্ষিত নারী কাউন্সিল পদে ৩৫ জনের মধ্যে একজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়ায় ৩৪ জন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। মঙ্গলবার প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। এদিন সব প্রার্থীকে আচরণবিধি মানতে সব ধরনের নির্দেশনা দেয়া হবে।
৩০ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ১৬ জানুয়ারি ভোট অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার কাছের এই সিটিতে।
প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ছিল ১৫ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই চলে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ২৭ ডিসেম্বর।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম পদ্ধতিতে নারায়ণগঞ্জ সিটির নির্বাচন হবে।
২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটির সবশেষ নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন সেলিনা হায়াৎ আইভি। বর্তমান সিটি করপোরেশনের জনপ্রতিনিধিদের মেয়াদ ২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।