বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইসি গঠনে আইন প্রণয়নে রাষ্ট্রপতি একমত: মাইজভাণ্ডারী

  •    
  • ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ২০:৫০

সংলাপ শেষে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে এসে নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চার দফা প্রস্তাব দিয়েছি। তার মধ্যে আইন প্রণয়নের কথাও রয়েছে। সংবিধানের ১১৮ (১) ধারায় আইনের মাধ্যমে ইসি গঠনের কথা বলা আছে।’

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন প্রণয়নের দাবি রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘদিনের। এ বিষয়ে একমত রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদও। সোমবার বঙ্গভবনে তরিকত ফেডারেশনের সঙ্গে সংলাপে রাষ্ট্রপতি এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।

বঙ্গভবনে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। এর আগে বিকেল ৪টায় বঙ্গভবনে সংলাপে অংশ নেয় দলের সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

ঘণ্টাব্যাপী সংলাপ শেষে বেরিয়ে এসে নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চার দফা প্রস্তাব দিয়েছি। তার মধ্যে আইন প্রণয়নের কথাও রয়েছে। সংবিধানের ১১৮ (১) ধারায় আইনের মাধ্যমে ইসি গঠনের কথা বলা আছে।

‘আমাদের হাতে এক মাস সময় আছে। এই মুহূর্তে আইন করা না গেলেও ভবিষ্যতে আইন করতে হবে। এটা ইতোমধ্যে জনগণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। আইনমন্ত্রীও বলেছেন যে তিনি এ বিষয়ে একমত। এর যেন ব্যত্যয় না ঘটে তার জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেছি।’

মাইজভাণ্ডারী বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি আমাদের মতামতকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি নিজেও চান দ্রুত আইন হোক। একই সঙ্গে বলেছেন- এতে আইনের যে প্রক্রিয়া আছে তাতে আলাপ-আলোচনার ব্যাপার আছে। তিনি এ বিষয়ে কথা বলবেন।

‘আইনের পক্ষে মতামত দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, যেহেতু একটু সময় দরকার। এটি সময় নিয়ে করলেই ভালো। আলোচনা করে…, প্রয়োজনে আমিও বসতে পারি। সরকারও বসতে পারে। আলোচনা করে একটি খসড়া তৈরি করে সংসদে পাস হলো।’

ইসি গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ ছাড়াও সুশীল সমাজের সঙ্গেও সংলাপ চায় তরিকত ফেডারেশন। একই সঙ্গে ইসি গঠনের সার্চ কমিটিতে একজন সাংবাদিক রাখার প্রস্তাব তাদের।

সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন হতে পারে- এমন ইঙ্গিত রাষ্ট্রপতি দিয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মাইজভাণ্ডারী বলেন, ‘উনি ইঙ্গিত না দিলেও, আমি মনে করি সার্চ কমিটির মাধ্যমেই ইসি গঠন হবে।’

এমনটা মনে করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি নিজে একজন আইনপ্রণেতা। বহুকাল ধরে সংসদে আছি। আইন করাটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কারণ কাল আইন করলে পরশুই প্রশ্ন উঠবে।’

নজিবুল বশর বলেন, ‘আমাদের দ্বিতীয় প্রস্তাব হলো- নিবন্ধিত দলগুলো ছাড়াও সুশীল সমাজের সঙ্গে সংলাপ করা। এতে সব পেশাজীবীর মানুষ রয়েছে। তবে সেটা অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের মতাদর্শের হতে হবে। তাহলে ইসি গঠন প্রক্রিয়া অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হবে। আর মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী বা তাদের পরিবারের কাউকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া যাবে না।’

নজিবুল বশর ভাণ্ডারী বলেন, ‘লিখিত প্রস্তাবের বাইরে রাষ্ট্রপতিকে বলেছি- নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনেকের গঠনতন্ত্র সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এদের কেউ নিবন্ধন পেতে পারে না। উনি কোনো ব্যবস্থা না নিলে আমরা মামলা করব। এটা ওনাকে জানিয়েছি।’

অতীতে গত দুই সংলাপেও আইন প্রণয়নের কথা বলেছিলেন। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। একজন সংসদ সদস্য হিসেবে আমি এ জন্য দুঃখিত। বঙ্গবন্ধু সংবিধানে আইনের কথা বলেছিলেন। কিন্তু সেটার বাস্তবায়ন কোনো সরকারই করেনি।’

এ বিভাগের আরো খবর