বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাতছড়ি থেকে বিপুল গ্রেনেড ও গুলি উদ্ধার

  •    
  • ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৯:৩৮

কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের ডিআইজি আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আবিল ত্রিপুরাকে আটকের পর পরই আমরা সাতছড়ি অভিযানে নেমে পড়ি। এ কারণে তার কাছ থেকে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।’

হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে বিপুল পরিমাণ গ্রেনেড ও গুলি উদ্ধার করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম।

সোমবার ভোররাত থেকে উদ্যানের ভেতর অভিযানটি শুরু হয়ে চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

অভিযান শেষে চুনারুঘাট থানায় সংবাদ সম্মেলন করেন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের ডিআইজি আসাদুজ্জামান।

তিনি জানান, রোববার রাত ৮টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিনসহ এক যুবককে আটক করে পুলিশ।

নিজের নাম আবিল ত্রিপুরা অমিত দাবি করে ওই যুবক জানান, তার বাড়ি খাগড়াছড়ির পানছড়িতে।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আবিল আরও জানান, হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ভেতর বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ মজুত রয়েছে।

তার দেয়া তথ্যমতে, রাত ৩টার দিকে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ভেতর অভিযান চালায় কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। বনের দক্ষিণ দিকে ১ ঘণ্টা হাঁটার পর তিনটি পাহাড়ের ওপর থেকে মাটির নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায় বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ পাওয়া যায়।

এসবের মধ্যে আছে ১৫টি রকেট প্রফেল গ্রেনেড, ২৫টি গ্রেনেড বুস্টার ও ৬টি টিনের বক্সে রাখা ৫১০ রাউন্ড লংরেঞ্জ অটোমেটিক মেশিনগানের বুলেট।

আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আবিল ত্রিপুরাকে আটকের পর পরই আমরা সাতছড়ি অভিযানে নেমে পড়ি। এ কারণে তার কাছ থেকে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।’

তিনি আরও বলেন, আমরা আবিলকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করব। প্রয়োজনে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অস্ত্রগুলো কোথা থেকে এলো, সে কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত কি না, সে বিষয়ে জানা যাবে।’

এ ছাড়া যেহেতু বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে, তাই এগুলো চালানোর মেশিনও আছে কি না তারও খোঁজ চালানো হবে বলে জানান তিনি।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলামসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে একই এলাকা থেকে চলতি বছরের ২ মার্চ অভিযান চালিয়ে ১৮টি কামানবিধ্বংসী রকেট শেল উদ্ধারের কথা জানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দফায় অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ৩৩৪টি কামানবিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, ছয়টি মেশিনগান, একটি বেটাগান, একটি অটোরাইফেল, প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধারেরও দাবি করেছিল র‌্যাব।

এরপর আরও কয়েকবার উদ্যানে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের কথা জানানো হয়।

এ বিভাগের আরো খবর