বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোট পড়েছে ১৪৭৭৮, নৌকা পেল ৯৩টি

  •    
  • ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৯:৩০

৯৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হওয়া নৌকার প্রার্থী হাসিনা বেগম বলেন, ‘ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমার জন্য কাজ করেননি। বিদ্রোহী প্রার্থীর হয়ে কাজ করেছেন; তার জন্য ভোট চেয়েছেন।’

চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নীলফামারীর সৈয়দপুরের একটি ইউনিয়নে ভোট দিয়েছেন ১৪ হাজার ৭৭৮ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ৯৩টি ভোট।

রোববার অনুষ্ঠিত উপজেলার খাতা মধুপুর ইউনিয়নের ভোটের ফলাফলে এমন চিত্র দেখা গেছে। পরাজয়ের জন্য স্থানীয় নেতাকর্মীদের দুষছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী।

এই নির্বাচনে মোট ভোটার ১৭ হাজার ৪৯৬ জন। এর মধ্যে ১৪ হাজার ৭৭৮টি ভোট পড়েছে। নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকে ৭ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মাসুদ রানা পাইলট। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় নির্বাচনের আগেই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

৯৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হওয়া প্রার্থী হাসিনা বেগম বলেন, ‘ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমার জন্য কাজ করেননি। বিদ্রোহী প্রার্থীর হয়ে কাজ করেছেন; তার জন্য ভোট চেয়েছেন।

‘বিজয়ী প্রার্থীর ভাই বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজমল হোসেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি প্রভাব খাটিয়ে ভোট নিয়ে গেছেন। আমি বিষয়টি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কাছে জানাব। তারা আমাকে তো মূল্যায়ন করেননি বরং প্রতীককে অবমাননা করেছেন।’

তবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজমল হোসেন বলেন, ‘হাসিনা বেগম দলীয় প্রার্থী হওয়ার পর ইউনিয়নের কোনো নেতাকর্মীকে ডাকেননি বা বলেননি ভোট করার জন্য। এমনকি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককেও বলেননি। বলা যায়, তিনি কাউকে মূল্যায়ন করেননি। উপজেলা থেকেও কোনো নির্দেশনাও ছিল না আমাদের কাছে।’

তিনি বলেন, ‘আমার ছোট ভাই পাইলট জিতেছে ঠিকই, কিন্তু তার হয়ে ভোট চাওয়া বা প্রচারণা চালানোর কোনো প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না।’

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিনের মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন স্থানীয় নেতারা। এটি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করা।’

তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’

এই ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান জুয়েল চৌধুরী আনারস প্রতীকে ৬ হাজার ৯৭৮, আবুল কাশেম আলী হাতপাখা প্রতীকে ২২৬ এবং মাহফুজ রেজা টেলিফোন প্রতীকে ৭৬ ভোট পেয়েছেন।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলী আলী রেজা রাজু জানান, ১৪ হাজার ৭৭৮টি ভোট পড়েছে। এর মধ্যে বাতিল হয় ৩৪২টি।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, রোববার উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী হিসেবে বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নে শাহজাদা সরকার নৌকা প্রতীকে এবং কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নে জাকের পার্টির নান্চু হাসান চৌধুরী গোলাপ ফুল প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন।

তিনি জানান, নির্বাচনে সব কয়টি ইউনিয়ন মিলিয়ে গড়ে ভোট পড়েছে ৮৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। পাঁচ ইউনিয়নে ২৯ জন চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণ করলেও ১৩ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর