বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কক্সবাজারে ‘ধর্ষণ’: ৩ আসামি রিমান্ডে

  •    
  • ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৭:১০

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রুহুল আমিন জানান, আসামিদের আদালতে তুলে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছিল পুলিশ। শুনানি শেষে তাদের দুদিন করে রিমান্ডে পাঠান বিচারক। এই মামলায় এখন পর্যন্ত রিমান্ডে নেয়া হলো চারজনকে।

কক্সবাজারে নারীকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার ৩ আসামিকে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক হামিমুন তাসনিম তাদের দুদিন করে রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রুহুল আমিন সোমবার বিকেল ৫টার দিকে নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আসামিদের আদালতে তুলে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছিল পুলিশ।

যাদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে তারা হলেন রেজাউল করিম, মামুনুর রশিদ ও মেহিদী হাসান। নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে রোববার তাদের গ্রেপ্তারের কথা জানান ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জিল্লুর রহমান।

তিনি বলেন, ওই নারীর জবানবন্দিতে যাদের নাম এসেছে, তাদের মধ্যে তিনজনকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।

এই মামলায় জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার রাতে এক নারীর স্বামী চারজনের নাম উল্লেখ ও তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন।

মামলায় নাম উল্লেখ করা চার আসামি হলেন কক্সবাজার শহরের মধ্যম বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ শফি ওরফে ইসরাফিল হুদা জয় ওরফে জয়া, মেহেদী হাসান বাবু ও জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।

মামলার মূল আসামি আশিকুল ইসলাম আশিককে মাদারীপুর থেকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে র‍্যাব। আশিকসহ এই মামলায় গ্রেপ্তার আছেন মোট পাঁচজন।

ওই নারীর অভিযোগ, তাকে শহরের একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানে নিয়ে প্রথমে তিনজন ধর্ষণ করেন। তারপর নেয়া হয় হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের একটি হোটেলে। সেখানে আবারও তাকে ধর্ষণ করেন একজন।

মামলার তদন্তকারী ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আশিকসহ কয়েকজন ওই নারীর পূর্বপরিচিত। অভিযোগকারী নারী তিন মাস ধরে কক্সবাজারে আছেন বলেও জানিয়েছেন তারা।

সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি আশিকুল ইসলাম। ছবি: নিউজবাংলা

‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ অভিযোগ তোলা নারী গত শুক্রবার কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হামীমুন তানজীনের আদালতে জবানবন্দি দেন।

তদন্তকারী ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ওই নারী আদালতকে জানান, তার সন্তান জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। সন্তানের চিকিৎসার জন্য অন্তত চার লাখ টাকা প্রয়োজন। সেই টাকা জোগাড় করতেই তিন মাস আগে তারা কক্সবাজারে আসেন। কক্সবাজারে তিন মাস ধরে তারা বিভিন্ন হোটেলে রুম ভাড়া করে থাকছেন বলেও জবানবন্দিতে জানান ওই নারী।

তবে অভিযোগকারী নারী এর আগেও কক্সবাজারে ছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোনে অভিযান চালায় পুলিশ। সে সময় বেআইনি কাজে জড়িত অভিযোগে ৫৪ জন নারী-পুরুষকে আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ওই নারীও ছিলেন। পরের দিন পুলিশের করা একটি মামলায় ২৭ নম্বর আসামি হিসেবে তার নাম রয়েছে। ওই মামলায় ‘মানব পাচার, পতিতালয় পরিচালনা এবং পতিতাবৃত্তি ও সহায়তার’ অভিযোগ আনা হয়। এজাহারের একটি কপি পেয়েছে নিউজবাংলা।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (অপারেশন) সেলিম উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তাকে (ওই নারী) আটক করার পর মানব পাচার মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।’

সে সময় ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলেও জানান ওসি।

প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিকের বিরুদ্ধে এর আগেও ইয়াবা, ছিনতাইসহ নানা অপরাধের অভিযোগে ১৬টি মামলা রয়েছে বলে জানায় জেলা পুলিশ।

কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোনের পাঁচ শতাধিক হোটেল থেকে প্রতিদিন চাঁদাবাজি করার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। হোটেল মালিকরা বলছেন, চাঁদা না দিলে জিম্মি ও মারধর করত আশিকের বাহিনী।

আওয়ামী লীগের এক সংসদ সদস্য এবং কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির প্রশ্রয়ে আশিক দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, আশিক মূলত ছিনতাইকারী চক্রের নেতা। তবে স্থানীয়রা বলছেন, কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের মূল নিয়ন্ত্রক তিনি। তার নেতৃত্বে রয়েছে অন্তত তিন ডজন অপরাধীর একটি চক্র।

এ বিভাগের আরো খবর