ঘুষ গ্রহণ ও মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় সিলেটের সাবেক কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে মামলার রায় হবে আগামী ৯ জানুয়ারি।
সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম রায়ের এ তারিখ ঘোষণা করেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল এবং ডিআইজি পার্থের পক্ষে এহেসানুল হক সমাজী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
পার্থের আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১১ জন সাক্ষী জেরার সঠিক জবাব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তারা অনেক বিষয় জেরার সময় স্পষ্ট করে বলতে পারেননি। তাই আসামি ন্যায়বিচার পেলে অবশ্যই খালাস পাবেন।’
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘১১ জন সাক্ষী আদালতে উপস্থিত হয়ে আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়ে তার অসততা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির বিষয়ে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। তাই আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে আশা করছি।’
শুনানিকালে ডিআইজি পার্থকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে ২৪ নভেম্বর মামলার শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন ডিআইজি পার্থ। গত ১৬ নভেম্বর মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত।
গত ৫ জুন ডিআইজি প্রিজনস পার্থকে জামিন দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেন। ২ সেপ্টেম্বর তার জামিন বাতিল করে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।
আদেশ অনুযায়ী, ১৯ সেপ্টেম্বর পার্থ গোপাল বণিক বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে। এদিকে মামলাটি সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে বদলি করে বিশেষ জজ আদালত-৪-এ পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই সকাল থেকে পার্থ গোপালকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেলে তার গ্রিন রোডের বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর সহকারী পরিচালক মো. সালাউদ্দিন তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরদিন আদালত তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
২০২০ সালের ২৪ আগস্ট একই কর্মকর্তা ডিআইজি পার্থের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। পরে ৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।
পার্থ গোপাল বণিক ২০১৬ সালের ৮ আগস্ট চট্টগ্রামের ডিআইজি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।