ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিখোঁজ ৩১ জনের তথ্য জমা পড়েছে বরগুনা জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমে।
আগুনে পোড়া অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ শনাক্তে সোমবার বরিশাল, ঝালকাঠি ও বরগুনার নিখোঁজদের সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী ৩১ জনের তথ্য জমা দিয়েছেন স্বজনরা।
বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে রবিবার রাত ৮টা থেকে টেলিফোন ও মাইকিং করে নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের খবর জানিয়ে দেয়া হয়।
কন্ট্রোল রুমের সমন্বয়কারী সাইদুর রহমান বলেন, ‘নিখোঁজ ব্যক্তিদের অনেক স্বজন তথ্য জমা দিতে আসছেন। বরগুনা সদর হাসপাতালে দুপুরের পর থেকে ডিএনএ নমুনা গ্রহণ করা হবে। তবে নমুনা সংগ্রহের জন্য সিআইডির বিশেষজ্ঞ দল এখনও বরগুনা এসে পৌঁছায়নি।’
বরগুনা ডিসি হাবিবুর রহমান জানান, নমুনা সংগ্রহে পুলিশের সিআইডি বিভাগকে ঝালকাঠি সিভিল সার্জন রতন কুমার ঢালী ও বরগুনা সিভিল সার্জন মারিয়া হাসানের নেতৃত্বাধীন মেডিক্যাল টিম সাহায্য করবে।
ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় সুগন্ধা নদীতে ২৩ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ৪০ জনের প্রাণহানির তথ্য জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস; নিখোঁজ অন্তত ৪০ জন।
পুড়ে যাওয়া লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিল, তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বলছে, লঞ্চটিতে অন্তত ৪০০ যাত্রী ছিল।
তবে লঞ্চ থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অনেকের দাবি, নৌযানটিতে যাত্রী ছিল ৮০০ থেকে এক হাজার।