এক হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (আইসিবি)। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাও এতে অংশগ্রহণ করতে পারবে। তবে আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে তাদের বরাদ্দ দেয়া হবে।
‘আইসিবি প্রথম মুদারাবা সুকুক’ নামে এই সুকুক নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে ইস্যু করা হবে।
সংগ্রহ করা টাকা আইসিবি পুঁজিবাজার এবং মানি মার্কেটের বিভিন্ন শরিয়াহভিত্তিক সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করবে। উত্তোলন করা এক হাজার কোটি টাকার কমপক্ষে ৭০ শতাংশ বা ৭০০ কোটি টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা হবে এবং বাকি অংশ অর্থ বাজারে বিনিয়োগ করা হবে।
১০ বছর মেয়াদি এই সুকুক থেকে রিটার্ন পাওয়া যাবে ষষ্ঠ বছর থেকে। ইস্যুকৃত মূলধনের ২০ শতাংশ করে ষষ্ঠ থেকে নবম বছর শেষে প্রদান করা হবে, যা অভিহিত মূল্য বা বাজারমূল্যের চেয়ে কম হবে না। অবশিষ্ট অংশ দশম বছর শেষে বাজারমূল্যের ভিত্তিত্তে পরিশোধ করা হবে। সুকুকটি পুঁজিাবজারে তালিকাভুক্ত হবে না।
এই সুকুক থেকে বছর শেষে ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ নিট লাভে বিতরণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
ডিএসই ওয়েবসাইটে সোমবার আইসিবি পক্ষ থেকে জানানো হয়, সুকুকের প্রতিটি ইউনিটের মূল্য হবে ১ হাজার টাকা। প্রতি ১০০টি ইউনিটের এক লটের মূল্য ১ লাখ টাকা।
এর জন্য আবেদন করতে পারবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী। যেমন- ব্যাংক, বিমা এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান, দেশি-বিদেশি কোম্পানি, সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং করপোরেশন, অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠান, যেমন- ক্লাব ও সমিতি।
আর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য পাঁচটি ইউনিটে একটি লট, যার মূল্য হবে ৫ হাজার টাকা। সুকুকের ট্রাস্টি হিসেবে থাকবে আইসিবি ফার্স্ট মুদারাবা সুকুক ট্রাস্ট।