ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ আরও এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০।
উদ্ধার অভিযানের চতুর্থ দিন সোমবার সকালে বিষখালী নদীর নাপিতেরহাট এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ঝালকাঠির রাজাপুর ও সদর থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং কোস্টগার্ড সদস্যরা।
এর আগে মরদেহ নদীতে ভাসতে দেখে ৯৯৯ নম্বরে খবর দেয় জেলেরা। ওই যুবকের বয়স ৪০ থেকে ৪২ বছর। তবে তার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, মৃতের শরীরে আগুনে পোড়ার চিহ্ন রয়েছে।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান জানান, বেলা সাড়ে এগারটায় মরদেহ উদ্ধার করে সদর থানায় নিয়ে আসা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় সুগন্ধা নদীতে ২৩ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ৪০ জনের প্রাণহানির তথ্য কথা জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস; নিখোঁজ অন্তত ৪১ জন।
পুড়ে যাওয়া লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিল, তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বলছে, লঞ্চটিতে অন্তত ৪০০ যাত্রী ছিলেন।
তবে লঞ্চ থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অনেকে দাবি, নৌযানটিতে যাত্রী ছিল ৮০০ থেকে এক হাজার।