ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে স্নাতকোত্তরের এক শিক্ষার্থীকে শারীরিক নির্যাতন এবং তার বিছানাপত্র ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে হল ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ প্রত্যাশী সত্যজিৎ দেবনাথের বিরুদ্ধে।
রোববার বিকাল পৌনে ৩টায় জগন্নাথ হলের ১০০১১ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে হলটির প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মিহির লাল সাহার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাগর সরকার।
সাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
অভিযুক্ত সত্যজিৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের ২০১৩- ১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী।
সাগর সরকার বলেন, ‘আগামী ২৯ তারিখ আমার চূড়ান্ত পরীক্ষা। আজ দুপুরে খাবার খেয়ে নিজ কক্ষে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। এ সময় হন্তদন্ত হয়ে সত্যজিৎ দা তার অনুসারীদের নিয়ে আমার রুমে ঢুকে আমাকে গালিগালাজ শুরু করেন।
‘কেন এরকম করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রোগ্রামে না গিয়ে তুই এভাবে বসে আছিস কেন? আমার পরীক্ষার কথা জানালেও তিনি শান্ত না হয়ে আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি আমার বিছানাপত্র দশতলা থেকে নিচে ফেলে দেন। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে সত্যজিৎ দেবনাথ বলেন, ‘প্রোগ্রামে না আসা নিয়ে তার সাথে বাক-বিতণ্ডা হয়েছে। গায়ে হাত তোলা হয়নি।
‘সামনে আমাদের হল কমিটি। আমরা চাইবো জুনিয়র সবাই আসুক। তাই সে কেন আসেনি সেটি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।’
কোনও শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু সে ছাত্রলীগ করে সুতরাং ছাত্রলীগের ডাকে সে সাড়া দেবে এটাই তো স্বাভাবিক।’
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ার জন্য কোনও ধরনের প্রেশার ক্রিয়েট করার সুযোগ নেই। আর গায়ে হাত তুলবে এটা গ্রহণযোগ্য না। সেটা অন্য কাহিনী হতে পারে। আমরা দেখবো।’
হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মিহির লাল সাহা বলেন, ‘আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেব।’