বগুড়ার তিন উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের ৩, বিদ্রোহী ২ ও স্বতন্ত্র ৮ প্রার্থী চেয়ারম্যান হিসেবে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। রোববার রাতে তিন উপজেলার নির্বাচনী কন্ট্রোল রুম থেকে এ ফল ঘোষণা করা হয়।
চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটে তারা নির্বাচিত হন। এর মধ্যে কাহালু উপজেলার আট ও নন্দীগ্রাম উপজেলার চার ইউনিয়নে ব্যালট পেপারে নির্বাচন হয়। আর সদরের এরুলিয়া ইউনিয়নে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হয়।
সদর উপজেলার এরুলিয়া ইউনিয়নে অটোরিকশা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতিকুর রহমান চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
নন্দীগ্রামের ভাটরা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে মোরশেদুল বারী, সদর ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র রেজাউল করিম কামাল, থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে আব্দুল মতিন ও ভাটগ্রাম ইউনিয়নে চশমা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ নির্বাচিত হন।
কাহালু উপজেলার দুটি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক বিজয়ী হয়। নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা হলেন-পাইকড় ইউনিয়নে মিঠু চৌধুরী ও জামগ্রাম ইউনিয়নে মনোয়ার হোসেন।
অপর দুটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। তারা হলেন সদর ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী পিএম বেলাল হোসেন ও নারহট্ট ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের আব্দুর রহিম প্রামাণিক।
অন্য নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা হলেন-মুরইল ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা আব্দুল জলিল, মালঞ্চায় মোটরসাইকের প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা নেছার উদ্দিন, বীরকেদারে মোটরসাইকেল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা ছেলিম উদ্দিন প্রামাণিক, কালাইয়ে অটোরিকশা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা জোবায়দুল ইসলাম।