চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সুনামগঞ্জের তিন উপজেলায় ২১ ইউপির সাতটিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। বাকি ৯টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, চারটিতে বিএনপি এবং একটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
রোববার ভোটগ্রহণের পর গণনা শেষে বেসরকারিভাবে এসব ফল ঘোষণা করা হয়।
সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্যানুযায়ী, দিরাই উপজেলার ৯ ইউনিয়নের তিনটিতে আওয়ামী লীগ, চারটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও দুটিতে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
এর মধ্যে রফিনগর ইউনিয়নে শৈলেন চন্দ্র তালুকদার (নৌকা), করিমপুর ইউনিয়নের লিটন চন্দ্র দাস (নৌকা), জগদল ইউনিয়নের হুমায়ূন রশীদ লাভলু (নৌকা) এবং আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে ভাটিপাড়া ইউনিয়নের বদরুল ইসলাম চৌধুরী মিফতা (মোটরসাইকেল), রাজানগর ইউনিয়নের জুয়েল মিয়া (চশমা), চরনারচর ইউনিয়নের পরিতোষ রায় (আনারস) ও কুলঞ্জ ইউনিয়নের একরার হোসেন (মোটরসাইকেল) প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলার সাত ইউনিয়নের মধ্যে তিনটিতে আওয়ামী লীগ, তিনটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং একটিতে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে কলকলিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী লন্ডন প্রবাসী রফিক মিয়া (আনারস), পাটলী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আঙুর মিয়া (নৌকা), ছিলাউরা হলদিপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম (আনারস), রানীগঞ্জ আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ ছদরুল ইসলাম (নৌকা), সৈয়দপুর শাহারপাড়া আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল হাসান (নৌকা), আষাঢ়কান্দি ইউনিয়নে বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ আয়ূব খান (মোটরসাইকেল) এবং পাইলগাঁও বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ মখলুস মিয়া (ঘোড়া) প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একটিতে আওয়ামী লীগ, একটিতে জাতীয় পার্টি, দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী একটিতে বিজয়ী হয়েছেন।
এর মধ্যে সালুকাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দিকী (নৌকা), পলাশ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী, উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল আহমদ (মোটরসাইকেল), ধনপুর ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মিলন মিয়া (ঘোড়া), দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নে স্বতন্ত্র মো. ছবাব মিয়া (মোটরসাইকেল), ফতেপুর ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে মো. ফারুক আহমদ বিজয়ী হয়েছেন।
সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, দিনভর তিনটি উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে ফলাফল জানিয়ে দেয়া হয়েছে।