ঝিনাইদহের ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মাত্র পাঁচটিতে জয় পেয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে প্রার্থী। হেরেছেন ১০টি ইউপিতে।
রোববার রাতে বেসরকারি ফলে পাঁচটি ইউপিতে নৌকার প্রার্থী ও ১০টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয় নিশ্চিত হয়। পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুস ছালেক।
নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন সাগান্না ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক, গান্না ইউনিয়নে আতিকুল হাসান মাসুম, পোড়াহাটী ইউনিয়নে শহিদুল ইসলাম হিরণ, ফুরসন্দি ইউনিয়নে শিকদার শহিদুল ইসলাম ও ঘোরশাল ইউনিয়নে পারভেজ মাসুদ মিল্টন।
অন্য ইউপিতে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন সাধুহাটী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দীন, মধুহাটী ইউনিয়নে আলতাফ হোসেন, হলিধানী ইউনিয়নে এনামুল হক নিলু, কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নে সিরাজুল করিম, মাহারাজপুর ইউনিয়নে খুরশিদ আলম, হরিশংকরপুর ইউনিয়নে ফারুকুজ্জামান ফরিদ, পদ্মাকর ইউনিয়নে বিকাশ বিশ্বাস, দোগাচী ইউনিয়নে গোলাম কিবরিয়া কাজল, কালীচরণপুর ইউনিয়নে জাহাঙ্গীর হোসেন ও নলডাঙ্গা ইউনিয়নে সাইফুল আলম খান রিপন।
এর আগে রোববার সকাল ৮টায় চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে এসব ইউপিতে ভোট শুরু হয়। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ ছিল কঠোর অবস্থানে। এ ছাড়া জরিপের মাধ্যমে ঝুঁকিপুর্ণ কেন্দ্র চিহ্নিত করে সেখানে নেয়া হয় বিশেষ ব্যবস্থা।
ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুস ছালেক জানান, নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭২ জন, সাধারণ সদস্যের ১৩৫ পদে ৪৯৫ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের ৪৫ পদের বিপরীতে ১৪৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১৫ ইউনিয়নের ১৪৮ কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ জন।