ঠাকুরগাঁওয়ে ভোট-পরবর্তী সহিংসতায় পুলিশের গুলিতে একজন প্রাণ হারিয়েছেন।
সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ আসাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম নিয়ে বের হওয়ার সময় পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর লোকজন আক্রমণ করে। একপর্যায়ে লাঠিচার্জ করা হয়। তার পরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নির্দেশে গুলি করা হয়।’
মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্ত রঞ্জন রায় জানান, ফল ঘোষণায় জানা যায় রাজাগাঁও ইউনিয়নে মেম্বার প্রার্থী মাসুদ রানা জয়ী হয়েছেন। পরাজিত প্রার্থী শাহ আলম ও তার সমর্থকরা এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। পুলিশ আত্মরক্ষায় গুলি চালাতে বাধ্য হয়।
তিনি আরও জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের নেয়া হয়েছে।
ওসি আরও জানান, দেবীপুর ইউনিয়নের নির্বাচনি সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন খোশবাজার গ্রামের মো. সাহিনুর নামে এক ব্যক্তি। তিনি ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে এ ঘটনার বিস্তারিত তিনি জানাতে পারেননি।
রোববার চতুর্থ ধাপে ভোট হয়েছে ৮৩৬ ইউপিতে।
হামলা, সংঘর্ষ, ভোট বর্জন, ব্যালট ছিনতাই, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ বেশ কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোট শেষ হয়। তবে বিকেল পর্যন্ত কারও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যার পর পাওয়া যায় ঠাকুরগাঁওয়ের এই ঘটনার খবর।
নির্বাচন কমিশন বলছে, ভোট সুষ্ঠু হয়েছে এবং আনন্দমুখর পরিবেশে মানুষ ভোট দিয়েছে। ভোট চলাকালে প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ২৯ জন আহত হয়েছেন। এ সময় আটক হয়েছেন ৬৩ জন। পাঁচজনকে শাস্তি দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এর আগের ধাপগুলোর মধ্যে বেশি প্রাণহানি ঘটে দ্বিতীয় ধাপে। নিউজবাংলার হিসাবে এই ধাপের ভোটের আগে-পরে অন্তত ১৬ জন নিহত হন। এর মধ্যে শুধু নরসিংদীতেই মৃত্যু হয়েছিল সাতজনের। এ ছাড়া তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে সহিংসতায় প্রাণ হারান ১০ জন।