বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকা নগর পরিবহন: ভোগান্তি লাঘবের প্রত্যাশা যাত্রীদের  

  •    
  • ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ২০:৪৭

ধানমণ্ডি ১৫ নম্বর থেকে নগর পরিবহনের বাসে ওঠা যাত্রী আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, ‘রাজধানীতে চলাচল করা অন্য বাস সার্ভিসগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে যাত্রীদের বিতণ্ডা প্রতিদিনের চিত্র। আশা করছি, এখন থেকে আমাদেরকে তেমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে না।’

রাজধানী ঢাকার গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরানো এবং যাত্রী ভোগান্তি কমিয়ে আনতে চালু হয়েছে দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত ‘ঢাকা নগর পরিবহন’। রুট রেশনালাইজেশনের ভিত্তিতে সিটি করপোরেশনের বাস সার্ভিস চালুর এমন উদ্যোগকে খুবই ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন যাত্রীরা। তাদের প্রত্যাশা, এই সার্ভিস যাত্রী ভোগান্তি কমাতে ভূমিকা রাখবে।

পাইলট প্রকল্প হিসেবে রোববার ‘ঘাটারচর-কাঁচপুর’ রোডে চালু হয়েছে নগর পরিবহন সেবা। দুপুরে উদ্বোধনের পর রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে এই সার্ভিসের একটি বাসে উঠে দেখা গেছে, মোহাম্মদপুরের বসিলা থেকে এলিফ্যান্ট রোড পর্যন্ত ১০ টাকা ভাড়া। বাসটি কেবল নির্ধারিত কাউন্টারে থামছে। অবশ্য প্রথম দিন বলেই অনেক কাউন্টারের কার্যক্রম সেভাবে শুরু হয়নি।

ধানমণ্ডি ১৫ নম্বর থেকে নগর পরিবহনের বাসে ওঠেন আব্দুল্লাহিল কাফি। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন আমাকে এখান থেকে গুলিস্তানে যেতে হয় কাজের জন্য। আশা করছি, এই পরিবহন আমাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে সক্ষম হবে।

‘রাজধানীতে চলাচল করা অন্য বাস সার্ভিসগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে যাত্রীদের বিতণ্ডা প্রতিদিনের চিত্র। আশা করছি, এখন থেকে আমাদেরকে এমন অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে না। বিষয়টি অবশ্যই আমাদের জন্য সুখকর।’

মোহাম্মদপুর থেকে নতুন বাস সার্ভিসে ওঠেন মোহাম্মদ আক্কাস। এই যাত্রী বলেন, ‘অনেক ভালো বলেই মনে হচ্ছে। সার্ভিস যদি ভালো হয় তাহলে যাত্রীর সংখ্যা দিন দিনই বাড়বে।’

আরেক যাত্রী রায়হান মিয়া বললেন, ‘অতীতে মোহাম্মদপুরের এই রুটে সিটি বাস, এটিসিএলসহ টিকিট সিস্টেমের বেশকিছু বাস চলত। সেগুলো বেশ জনপ্রিয় ছিল। পরবর্তীতে সেগুলো আর চলতে পারেনি। দু’বছর আগে কিছুদিনের জন্য বিআরটিসির এসি বাস সার্ভিস চলেছিল। সেটিও অনেক জনপ্রিয় হয়েছিল। আমরা আশা করছি, এই বাস সার্ভিস অনেক জনপ্রিয় হবে।’

ঢাকা নগর পরিবহনের বিআরটিসি বাসের চালক দিলীপ কুমার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যাত্রী সেবায় আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। যাত্রীদের সঙ্গে আমরা অবশ্যই ভালো ব্যবহার করব। অন্য বাসগুলোর মতো সেটা অবশ্যই হবে না। তিনি বলেন, এই বাস সার্ভিসে কেউ দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না। ১০ মিনিট পর পর এ বাস ছাড়বে। যাত্রীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সে বিষয়টি আমরা দেখব।’

ঢাকা নগর পরিবহনে ঘাটারচর-কাঁচপুর রুটে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দূরত্বে সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা; সর্বোচ্চ ভাড়া ৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কিলোমিটার দুই টাকা ১৫ পয়সা হিসেবে ভাড়া পরিশোধ করতে হবে।

সিটি করপোরেশনের এই উদ্যোগের আওতায় প্রাথমিকভাবে বিআরটিসির ৩০টি ডাবল ডেকার এবং ট্রান্স সিলভা পরিবহনের ২০টি বাসসহ মোট ৫০টি বাস নামছে। দু’মাসের মধ্যে এতে যুক্ত হবে আরো ৫০টি বাস।

এ বিভাগের আরো খবর