নারায়ণগঞ্জ শহরের ১ নম্বর রেলগেট এলাকায় বাসে ট্রেনের ধাক্কায় আহত এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহতদের আনার পর রাত সোয়া ৮টার দিকে ওই ছেলে শিশুটির মৃত্যু হয়। তার বয়স আনুমানিক আট বছর।
ঢাকা মেডিক্যালের পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুর্ঘটনায় আহতদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়। সে সময় ওই শিশুকে পা কাটা অবস্থায় আনা হয়েছিল।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে যাওয়া ট্রেনটি নারায়ণগঞ্জের রেলস্টেশনের ১ নম্বর গেটে পৌঁছালে রেললাইনে আটকে থাকা বাসকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থল থেকে দুজনের মরদেহ পাওয়া যায়। হাসপাতালে পাঠানো হয় আহত ৯ জনকে।
রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (নারায়ণগঞ্জ ফাঁড়ি) মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘ট্রেনটি ছিল দ্রুতগতিতে। রেলক্রসিংয়ে থাকা গেটম্যান ব্যারিয়ার ফেলে যানবাহনের গতিরোধ করে, কিন্তু আনন্দ পরিবহনের বাসটি উত্তর পাশের ব্যারিয়ারটি ভেঙে রেললাইনের সামনে চলে আসে। এ সময় ট্রেনের ধাক্কায় বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়।’
তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, বাসটি রেললাইন পার হতে গিয়ে আটকা পড়ে। ঠিক সে সময় ট্রেনটি এসে ধাক্কা দেয়। গেটম্যান ঠিক সময়ে রেলক্রসিংয়ের গেট নামায়নি বলেই এ ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, ঘটনার সময় রেলক্রসিংয়ের রাস্তায় যানজট ছিল। তাই হয়ত বাসটি আটকা পড়ে।
জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ঘটনা তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা আক্তারকে প্রধান করা হয়েছে। এ কমিটিতে দ্রুত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি।
‘যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা ও আহতদের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় কারো অবহেলা ও অনিয়ম পাওয়া গেলে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
দুর্ঘটনা তদন্তে রেলওয়ের পক্ষ আরেকটি কমিটি করা হবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে মাস্টার কামরুল হাসান।