বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাত দিয়ে টানলেই উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচঢালাই

  •    
  • ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ২০:২৫

ঠিকাদার শান্টু রহমান বলেন, ‘সড়কে আমরা কাজ করছি; আর এলাকার লোকজন টেনে টেনে কার্পেটিং তুলছে। এতে আমাদের ৪-৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমরা ইঞ্জিনিয়ারসহ ঘটনাস্থলে এসে পর্যবেক্ষণ করে তাদের নিষেধ করেছি।’

ঢাকার ধামরাইয়ে একটি সড়কে পিচঢালাইয়ের এক দিন পরই তা উঠে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাত দিয়ে টেনে টেনে এই রাস্তার কার্পেটিং তুলে ফেলা যাচ্ছে।

উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের খাগুটিয়া গ্রামের এ ঘটনার একটি ভিডিও রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় তা এক দিন পরেই উঠে যাচ্ছে। প্রতিবাদ করায় ঠিকাদার উল্টো তাদের পুলিশ দিয়ে হয়রানির হুমকি দিয়েছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

রোববার বেলা ৩টার দিকে ‘আমরা ধামরাইবাসী’ ফেসবুক গ্রুপে সড়কের অবস্থা নিয়ে ভিডিও ও ছবি পোস্ট করে ‘খাগুটিয়া ছাত্র-ছাত্রী উন্নয়ন সংস্থা’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

ওই পোস্টে বলা হয়, ‘বালিয়া ইউনিয়নের খাগুটিয়া গ্রামের রাস্তার কাজের অবস্থা। পায়ের ধাক্কায় পিচ উঠে যাচ্ছে সব। শনিবার কাজ করেছে, আজকেই এই অবস্থা।’

খাগুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা রাজীব আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গ্রামের মানুষের জন্য এ সড়কটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় দুই বছর ধরেই সড়কটির বেহাল দশা। খাগুটিয়া-মিলগেট সড়কটি এক হাজার ফুট দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ৯ ফুট প্রশস্ত। প্রায় পাঁচ মাস আগে সড়কটিতে ইটের সলিং করেন এলজিইডি প্রকল্পের ঠিকাদাররা। এরপর শনিবার সড়কটিতে পিচঢালাইয়ের কাজ করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘অর্ধেক সড়কে পিচঢালাই এরই মধ্যে শেষ। কিন্তু নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় সড়কের কার্পেটিং হাত দিয়ে টেনেই ওঠানো যাচ্ছে। সকালে আমার চাচা বেনজির আহমেদ ও ভাই খোকন সড়কটিতে হাঁটতে যান। এ সময় সন্দেহ হলে তারা পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে দেখেন, ঢালাইয়ের পিচ হাত দিয়েই তোলা যাচ্ছে। এমনকি উঠে যাওয়া পিচ মানসম্মত নয় এবং গুঁড়ো গুঁড়ো।'

রাজীব আহমেদ আরও বলেন, ‘মূলত বিটুমিন নিম্নমানের হওয়ায় নতুন পিচঢালাইয়ের অনেক জায়গায় এমন অবস্থা। আমরা প্রতিবাদ করায় ঠিকাদার আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। পুলিশ দিয়ে হয়রানি করবেন বলে জানান। শুধু তা-ই নয়, কাজ বন্ধ করে চলে যাওয়ারও হুমকি দেয়া হয়।’

সড়কটি নির্মাণকাজে নিয়োজিত ইশরাত বিল্ডার্সের স্বত্বাধিকারী ঠিকাদার শান্টু রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পিচ দেয়ার তিন দিন না হলে শক্ত হয় না। পিচ নরমই থাকে। কিন্তু আমরা কাজ করছি; আর এলাকার লোকজন টেনে টেনে কার্পেটিং তুলছে। এতে আমাদের ৪-৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমরা ইঞ্জিনিয়ারসহ ঘটনাস্থলে এসে পর্যবেক্ষণ করে তাদের নিষেধ করেছি।’

একজন প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাধারণত পিচঢালাইয়ের ২৪ ঘণ্টা পার হলেই পিচ লেগে যায়। দু-তিন সময়ের দরকার নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর