বগুড়ার শেরপুরের গাড়ীদহ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ও আব্দুল মান্নানের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এ সময় দুই প্রার্থীর নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুর করে আগুন দেয়া হয়।ইউনিয়নের কাফুরা পূর্বপাড়া এলাকায় শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় রোববার দুুপুরে শেরপুর থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।স্থানীয়রা জানান, গাড়ীদহ ইউপি নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সমর্থকরা শনিবার রাতে কাফুরা পূর্বপাড়ায় নির্বাচনি কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। এ সময় সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল মান্নানের সমর্থকরা প্রচার শুরু করেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বেধে যায়। দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন।
আবুল কালাম আজাদের অভিযোগ, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সশস্ত্র লোকজন নির্বাচনি কার্যালয়ে ঢুকে তার পাঁচ কর্মীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। এর মধ্যে রফিকুল ইসলাম নামে একজনের অবস্থা গুরুতর। ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হয়। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া আহত মঞ্জুর রাহী, আব্দুল গণি, আব্দুল্লাহ ও সুজন মিয়া স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
হামলার ঘটনা রাতেই পুলিশকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আব্দুল মান্নান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর থেকে আমার বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার জন্যও হুমকি-ধমকি দেয়া হয়। এখন হামলা-ভাঙচুরের পথ বেছে নিয়েছে। আজাদের লোকজন আমার নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুর করে আগুন দেয়। এতে বাধা দেয়ায় পাঁচ কর্মীকে মারধর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। ঘটনা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পঞ্চম ধাপে গাড়ীদহ ইউনিয়ন পরিষদে ভোট ৫ জানুয়ারি।