ফরিদপুরের সালথায় জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত মোহাম্মদ মাতুব্বর নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোরে তার মৃত্যু হয়। শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের নারানদিয়া গ্রামে হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, জমি নিয়ে বিরোধে শনিবার সন্ধ্যায় নারানদিয়া গ্রামের নুরু মাতুব্বরের সমর্থক জলিল শেখের ছেলে আবেদ শেখের সঙ্গে ইউপি সদস্য ওহিদ মাতুব্বরের সমর্থক ওয়াজেদ মাতুব্বরের ছেলে আবেদ মাতুব্বরের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
ওই ঘটনার জেরে ওহিদ মাতুব্বরের সমর্থকদের সঙ্গে নুরু মাতুব্বরের লোকজনের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই সময় নুরু মাতুব্বরের চাচা মোহাম্মদ মাতুব্বর রাস্তায় পড়ে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে পিটিয়ে আহত করে। গুরুতর অবস্থায় পরে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহতের ভাই ইনছুর মাতুব্বর বলেন, ‘আমার ভাই নারানদিয়া বাজারে চা খেতে গেলে ওহিদ মাতুব্বর ও সাহেব আলী মাতুব্বরের লোক ইয়াদ আলী, জাকির, মাহবুবসহ বেশ কয়েকজন পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে।’
মোহাম্মদ মাতুব্বরের মেয়ে মাহফুজা বেগম বলেন, ‘আমার বাবাকে ওহিদ ও সাহেব আলীর হুকুমে হত্যা করা হয়েছে। আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে সাহেব আলী মাতুব্বর বলেন, ‘জমি নিয়ে বাজারে হাতাহাতির জেরে নুরু মাতুব্বরের লোক আবেদ, নাইম, ইব্রাহিমসহ রামদা নিয়ে এগিয়ে এলে আমাদের লোকজন ধাওয়া দেয়। ওই ঘটনা স্থানীয় মজিবর ও লক্ষ্মণদিয়ার সুরুজ মাতুব্বর মীমাংসা করে দেন।
‘মোহাম্মদ মোল্যা অসুস্থ মানুষ। তার ওপর কেউ হামলা করেনি।’
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশিকুজ্জামান বলেন, ঘটনার পর ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।