অবশেষে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছেন বরিশালের হিজলার আলোচিত তরুণী আছপিয়া ইসলাম কাজল।
তিনি নিজেই রোববার বিকালে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আছপিয়া জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীসহ দেশবাসীকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
জেলা পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত নিয়োগপত্র আছপিয়া দেখিয়েছেন নিউজবাংলাকে। তিনি জানান, তার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছেন হিজলা থানার উপপরিদর্শক মো. মিজান।
নিয়োগপত্রে আগামী ২৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টার মধ্যে তাকে জেলা পুলিশ লাইনে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে আনুষ্ঠানিকতা শেষে ছয় মাসের প্রশিক্ষণের জন্য রংপুরে পাঠানো হবে।
বরিশাল পুলিশ লাইনসের ফটকের সামনে বিষণ্ন মুখে বসে থাকা আছপিয়া ইসলামের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয় গত ৯ ডিসেম্বর। তিনি সে সময় অভিযোগ করেন, হিজলায় জমি না থাকায় সব ধাপ উত্তির্ণ হয়েও কনস্টেবল পদে চাকরি হয়নি।
আরও পড়ুন: জমি না থাকায় চাকরি হলো না আছপিয়ার?
বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, জমি না থাকায় চাকরি হয়নি এই অভিযোগ সত্য নয়। স্থায়ী ঠিকানার তথ্য ভেরিফিকেশনে যাচাই হয়নি বলে বিধি অনুযায়ীই তার চাকরি হয়নি।
এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছপিয়ার চাকরি নিশ্চিতের নির্দেশ দেন। এমনকি হিজলায় মেয়েটির জন্য ঘর বানিয়ে দেয়ারও নির্দেশ দেন।
তবে নিউজবাংলার অনুসন্ধানে জানা যায়, ভোলার চরফ্যাশনে পৈতৃক সূত্রে ৬৪ শতাংশ বা প্রায় দুই বিঘা জমি আছে আছপিয়াদের।
আছপিয়ার ভোটার আইডি কার্ডে দেখা গেছে, ২০১৯ সাল থেকে যে বাড়িতে তিনি ও তার পরিবার ভাড়া থাকেন, সে বাড়ির ঠিকানাকেই স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে দেয়া আছে। একই ঠিকানা পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরমে উল্লেখ করেন আছপিয়া।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) ইকবাল হোছাইন বলেন, ‘চাকরির বিধিমালা অনুযায়ী যে জেলা থেকে নিয়োগ পরীক্ষা দেবেন, সে জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। আছপিয়ার ক্ষেত্রে স্থায়ী ঠিকানার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।’
চরফ্যাশনে জমি থাকা সত্ত্বেও নিজেকে ভূমিহীন কেন দাবি করলেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার দাদা বাড়ি চরফ্যাশনে। আমি তিন-চারবার সেখানে গিয়েছি। চরফ্যাশনে আমাদের জমি রয়েছে। তবে সেখানে আমি স্থায়ী নই। কী পরিমাণ জমি আছে তা আমি ঠিক জানি না।’