ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চ দুর্ঘটনায় রোববার নিখোঁজ কোনো যাত্রীর সন্ধান মেলেনি।
তৃতীয় দিনে কীর্তনখোলা, সুগন্ধা, বিষখালী, ধানসিঁড়ি এবং হলতা নদীতে অভিযান চালায় কোস্টগার্ড এবং নৌ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। আলো স্বল্পতায় বিকেল ৫টার দিকে স্থগিত হয় উদ্ধারকাজ। তবে অনেকে নিজস্ব উদ্যোগে নিখোঁজ স্বজনদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
বরগুনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক কামাল হোসেন ভুইয়া এসব নিশ্চিত করেছেন। জানিয়েছেন, রাতেও অভিযান চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এজন্য প্রস্তত আছে ডুবুরি দল।
ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় সুগন্ধা নদীতে বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের প্রাণহানির কথা জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস, নিখোঁজ আছেন ৪১ জন।
পুড়ে যাওয়া লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিল, তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বলছে, লঞ্চটিতে অন্তত ৪০০ যাত্রী ছিলেন।
তবে লঞ্চ থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অনেকে দাবি, নৌযানটিতে যাত্রী ছিল ৮০০ থেকে এক হাজার।