বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অর্থ আত্মসাৎ: সোনালী ব্যাংকের বরখাস্ত ৮ কর্মকর্তার দণ্ড

  •    
  • ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৭:২২

২০১১ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০১২ সালের ২৭ মের মধ্যে রমনা থানাধীন সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের হোটেল শেরাটন শাখা থেকে ডিএন স্পোর্টস লিমিটেডের নামে এক কোটি ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে।

প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলায় সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের বরখাস্ত ৮ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাসহ ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান রোববার এ রায় ঘোষণা করেন।

বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রতারণায় সহযোগিতার অভিযোগে সোনালী ব্যাংকের বরখাস্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হুমায়ুন কবীর, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাইনুল হক, মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মীর মহিদুর রহমান ও ননী গোপাল নাথ, উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন ও মো. সফিজ উদ্দিন আহমেদ, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) সাইফুল হাসান ও কামরুল হোসেন খানকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ টাকা অনাদায়ে আসামিদের ৩ মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

আসামিদের মধ্যে হুমায়ুন কবীর, ননী গোপাল নাথ ও সাইফুল ইসলাম পলাতক।

বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রতারণায় সহযোগিতার অভিযোগে ডিএন স্পোর্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন চৌধুরী, তার মেয়ে পরিচালক ফাহমিদা আক্তার এবং প্রতিষ্ঠানটির এমডি সফিকুর রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের এক কোটি ৪২ লাখ ৯৪ হাজার ৭৪ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ টাকা অনাদায়ে তাদের আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

২০১১ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০১২ সালের ২৭ মের মধ্যে রমনা থানাধীন সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের হোটেল শেরাটন শাখা থেকে ডিএন স্পোর্টস লিমিটেডের নামে এক কোটি ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের সহকারী পরিচালক সেলিনা আক্তার মনি ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি ১৬ জনকে আসামি করে রমনা থানায় মামলাটি করেন।

মামলাটি তদন্ত শেষে ১১ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৪ সালের ২২ মে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত।

তদন্তে আসামিদের বিরুদ্ধে এক কোটি ৪২ লাখ ৯৪ হাজার ৭৪ টাকা আত্মসাতের তথ্য উঠে আসে। পরে ২০১৫ সালের ৪ নভেম্বর ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।

মামলাটির বিচার চলাকালে অভিযোগপত্রভুক্ত ৬১ সাক্ষীর মধ্যে ৪৪ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে আদালত।

এ বিভাগের আরো খবর