নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ইউপি সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনটি কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
আড়াইহাজার উপজেলার ১০ ইউনিয়নে সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরু হয়। দুপুরে বিশনন্দী ইউনিয়নের ১ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিশনন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বয়াকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গাজীপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
তারা ভোটকেন্দ্রে ভাঙচুর চালায়, ককটেল বিস্ফোরণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন।
আড়াইহাজার উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সুলতানা এলিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি নিউজবাংলাকে জানান, বিশনন্দী ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। তবে এ ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে একাধিক সদস্য প্রার্থী রয়েছেন। দুপুরে ১ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওই তিনটি কেন্দ্র ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকরা দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এলিন বলেন, ‘তারা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে আমাকে সংবাদ দেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা। পরে দ্রুত সেখানে ছুটে গিয়ে প্রশাসনের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরিস্থিতি বিবেচনায় ওই তিনটি কেন্দ্রের ভোট বন্ধ রাখা হয়।’
একই উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের নৌদ্দা নজরুল ইসলাম বাবু উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা দেড়টার দিকে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র বলেন, ‘বেলা দেড়টার দিকে ইউপি সদস্য প্রার্থী তালা প্রতীকের সিরাজুল ইসলাম ও ফুটবল মার্কার শামীম হোসাইনের সমর্থকদের মধ্যে মারামারি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। পরে ভোট স্বাভাবিক হয়।’
সকাল ১০টার দিকে ফতেপুর ইউনিয়নের ১২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ ওঠে উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর ভাগ্নে ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে।
সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থী মোসা. রোকেয়া বলেন, ‘আজ সকালে ভোট দেখতে ১২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অবস্থান করছিলাম। ওই সময় উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি ইকবাল হোসেন মোল্লা কেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে আমাকে ও আমার এজেন্টদের বের হয়ে যেতে বলেন। কেন্দ্র ছাড়তে রাজি না হলে ভোটারদের সামনেই গালাগাল করেন।’
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা যুবলীগ নেতা ইকবালের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে তিনটি উপজেলার ১২ ইউনিয়নের মধ্যে আড়াইহাজারের ছয়টি ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।