ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইয়ুব হোসেন রোববার নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানান।
আইয়ুব বলেন, ‘আমার এখানে ১৫ জন বার্ন পেশেন্ট (রোগী) ভর্তি আছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) রাখা হয়েছে। দুইজন এইচডিইউতে (হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট) আছে। এই পাঁচজনের অবস্থা ভেরি ক্রিটিক্যাল।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাকি ১০ জনের মধ্যে সাতজনকে তিন দিন পর ছুটি দেয়ার সম্ভাবনা আছে। তিনজনের চিকিৎসা চলবে।’
আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা পাঁচজনের মধ্যে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন তিন নারী হলেন শাহিনুর খাতুন, মারুফা ও মনিকা রানি। তাদের মধ্যে শাহিনুরের দেহের ২৫ শতাংশ, মারুফার ১৫ শতাংশ এবং মনিকা রানির ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
এইচডিইউতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা দুজন হলেন জেসমিন আক্তার ও তার ছেলে তামিম হাসান। তাদের মধ্যে জেসমিনের ১২ শতাংশ এবং তামিমের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
গত ২৩ ডিসেম্বর রাত তিনটার দিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকার সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী ‘এমভি অভিযান-১০’ নামের লঞ্চে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে। এতে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে; নিখোঁজ আছে শতাধিক।
আগুনে দগ্ধ ৮১ জনের মধ্যে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪৬ জন। ১৯ জনকে পাঠানো হয় ঢাকায়।
পুড়ে যাওয়া লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিল, তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লঞ্চটিতে প্রায় ৪০০ যাত্রী ছিল, তবে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অনেকে বলছেন, এই লঞ্চে যাত্রী ছিল ৮০০ থেকে ১ হাজার।