ঘাটারচর-কাঁচপুরের পর রাজধানী ও আশপাশের চারটি জেলার আরও ৪২টি রুটে ‘নগর পরিবহন’ নামে বাসের নতুন ব্যবস্থাপনা চালু হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, ‘পর্যায়ক্রমে আরও হবে। এখন তো মাত্র শুরু হলো। একটাই তো রুট হবে না। সুশৃঙ্খল পরিকল্পনায় আনতে ৪২টি রুটের পরিকল্পনা আছে।
‘লং ওয়ে টু গো। মাত্র শুরু হলো। এগুলো ঢাকা সিটি অ্যান্ড এরাউন্ড মানে ডিটিসিএর যে এলাকাটা। এর মধ্যে নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর আছে।’
২০২৩ সালের মধ্যে পুরো নগরীকেই এই সেবার আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
ঢাকা নগর পরিবহনের চালকদের দেয়া হয়েছে আলাদা ইউনিফর্ম ও বিশেষ আইডি কার্ড। ছবি: নিউজবাংলারোববার রাজধানীতে ‘বাসরুট রেশনালাইজেশন’ নামে নগর পরিবহনের নতুন ব্যবস্থাপনার পাইলট প্রকল্প উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা জানান।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক ঢাকার বাস ব্যবস্থাপনা পাল্টে দিতে যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, সম্প্রতি তার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।
কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর পর্যন্ত এই বাস চালু হয়েছে। সিটি করপোরেশনের এই উদ্যোগের আওতায় প্রাথমিকভাবে বিআরটিসির ৩০টি ডাবল ডেকার এবং ট্রান্স সিলভা পরিবহনের ২০টি বাসসহ মোট ৫০টি বাস নামছে। দুই মাসের মধ্যে এতে যুক্ত হবে ১০০টি বাস।
২৭ কিলোমিটার দূরত্বে সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা ও সর্বোচ্চ ভাড়া ৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কিলোমিটার দুই টাকা ১৫ পয়সা হিসেবে ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। কেউ যদি এক স্টেশন থেকে ওঠে পরের স্টেশনে নামে, তাহলে তাকে ১০ টাকা ভাড়া দিতে হবে।
রাজধানীতে বাসে চলাচলের যে ভোগান্তি, সেটি এই উদ্যোগে দূর হবে বলে আশা করছে সরকার।
রাজধানীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে সর্বপ্রথম উদ্যোগটি নেন ঢাকা উত্তর সিটির প্রথম মেয়র আনিসুল হক। তবে তার মৃত্যুর পর এটি আর গতি পায়নি। কয়েক বছর পর ঢাকার বর্তমান দুই মেয়র আতিকুল ইসলাম ও শেখ ফজলে নূর তাপসের উদ্যোগে রোববার পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয় ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ এর চাকা।
‘ঢাকা নগর পরিবহনের’ চালকদের শনাক্তে দেয়া হয়েছে নির্দিষ্ট পোশাক ও পরিচয়পত্র।