বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সামান্য ঘটনা নিয়ে খুন-জখম: আদালত

  •    
  • ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৫:০২

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ‘এই মামলার ডিসিস্ট জহিরুল হক নাটাই ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সমাজসেবক ছিলেন। তিনি খুন হলে পরে তার ভাই অধ্যক্ষ কবির হোসেন মামলা করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনাটি খুবই নৃশংস। সেখানে সামান্য ঘটনা নিয়ে খুবই উত্তেজিত হয়ে একপক্ষ অপর পক্ষকে খুন ও জখমের মতো ঘটনা ঘটায়।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে মানুষ খুব উত্তেজিত হয়। সে সঙ্গে সেখানে একপক্ষ অপর পক্ষকে খুন-জখমের মতো ঘটনা ঘটনায় বলে এক পর্যবেক্ষণ দিয়েছে হাইকোর্ট।

রোববার ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আওয়ামী লীগ নেতা, সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী জহিরুল হক হত্যা মামলার রায় পড়ে শোনান। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে এমন মন্তব্য করে।

জহিরুল হক হত্যার দায়ে ১৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। পাশাপাশি আটজনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

চলতি বছর কয়েক দফায় এমন চিত্র দেখা গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ফাইল ছবি

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ‘এই মামলার ডিসিস্ট জহিরুল হক নাটাই ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সমাজসেবক ছিলেন। তিনি খুন হলে পরে তার ভাই অধ্যক্ষ কবির হোসেন মামলা করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনাটি খুবই নৃশংস। সেখানে সামান্য ঘটনা নিয়ে খুবই উত্তেজিত হয়ে একপক্ষ অপর পক্ষকে খুন ও জখমের মতো ঘটনা ঘটায়।’

তিনি বলেন, ‘এ মামলায় পরিকল্পনা মোতাবেক আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল হককে বসু মিয়া গং পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই হাতে গলা চেপে ধরলে গলা দিয়ে রক্ত বমি হয়। বাম উরুতে সামনে রগ কাটা জখম, বাম উরুতে পিছনে কাটা জখম, কোমরের পিছনে জখম, বাম হাঁটুর নিচে রগ কাটা জখম, মুখের ডান চোয়ালে ছিদ্র জখম, মাথার পিছনে থ্যাঁতলানো জখম, বুকে-পিঠে-কোমরে পিটিয়ে জখম, বাম চোয়ালের ওপরে গুরুতর থ্যাঁতলানো কালচে জখম, তলপেটে পা দিয়ে মুড়িয়ে জখমসহ কিলিয়ে, উষ্ঠিয়ে, লাথি দিয়ে পুরো শরীরে আঘাত করে, বুক থেকে পেট পর্যন্ত খোলা লম্বা কাটা মারাত্মক রক্তাক্ত গ্রিভিয়াস জখম করে খুন করা হয়েছে।

‘এটা খুবই দুঃখজনক। এ কারণে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়াই সমীচীন বলে মনে করেন অত্র ট্রাইব্যুনাল।’

রায় ঘোষণার আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আটক ১৬ আসামিকে আদালতে নেয়া হয়। মামলার ২১ আসামির মধ্যে পাঁচজন পলাতক রয়েছেন।

রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন বসু মিয়া, কবির মিয়া, মোখলেছ, সাচ্চু মিয়া, জাহাঙ্গীর মিয়া, শহিবুর রহমান শুক্কি, লিয়াকত আলী, ইউনুছ মিয়া, রহমত উল্লাহ ওরফে ফারিয়াজ মিয়া, শিথিল আহম্মেদ ওরফে ফাহিম আহম্মেদ, সাইফুল, আলী মিয়া ও পাভেল।

১৩ জনের মধ্যে পলাতক রয়েছেন রহমত উল্লাহ ওরফে ফারিয়াজ মিয়া , শিথিল আহম্মেদ ওরফে ফাহিম আহম্মেদ, সাইফুল, আলী মিয়া ও পাভেল।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন নুরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, রাসেল, মাজু মিয়া, গোলাপ মিয়া, সোহেল মিয়া, শাহজাহান ও বোরহান ওরফে রোহান। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড।

এ বিভাগের আরো খবর