বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘যাত্রীদের মনের মতো সার্ভিস হবে’

  •    
  • ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৪:৫৩

‘ঢাকা নগর পরিবহন’-এর সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আশা করছি এই সার্ভিসটি যাত্রীদের মনেরমতো হবে। যাত্রীদের মন পাব। রাস্তার শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আসবে।’

রাজধানীতে চালু হলো রুট রেশনালাইজেশনের ভিত্তিতে বাস সার্ভিস ‘ঢাকা নগর পরিবহন’। এই সার্ভিস যাত্রীদের মনেরমতো করে গড়ে তুলতে চান চালকেরা। পেতে চান যাত্রীদের মন।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে রোববার দুপুর ১২টার দিকে বহুল প্রতীক্ষিত ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ বাস রুট পাইলটিংয়ের উদ্বোধন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

‘ঢাকা নগর পরিবহন’কে বাংলাদেশের জন্য একটি ইতিহাস বলে উল্লেখ করলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে ৫০টি বাস দিয়ে শুরু করছি, আগামীতে আমরা ১০০টি বাস চালু করব। এরপর যদি আরও বাস প্রয়োজন হয়, আমরা তাও দেব। ২০২৩ সালের মধ্যে আমরা পুরোপুরিভাবেই এই সেবা চালু করতে পারব।’

আপাতত ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত দেয়া হবে নগর পরিবহনের সেবা। এ জন্য নামানো হয়েছে বিআরটিসির ৩০টি ও ট্রান্সসিলভারের ২০টি বাস। এই বাসগুলোর যারা চালক তাদের দেয়া হয়েছে সবুজ রঙের সুনির্দিষ্ট পোশাক ও আলাদা আইডি কার্ড।

নগর পরিবহনের কয়েকজন চালকের সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা। এমন একটি বাস সার্ভিসের অংশ হতে পেরে দারুণ খুশি তারা।

ঢাকা নগর পরিবহনের চালকদের দেয়া হয়েছে আলাদা ইউনিফর্ম ও বিশেষ আইডি কার্ড। ছবি: নিউজবাংলা

নগর পরিবহনের বিআরটিসির বাসচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আশা করছি সার্ভিসটি যাত্রীদের মনেরমতো হবে। যাত্রীদের মন পাব। রাস্তার শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আসবে।’

বেতনাদির ব্যাপারে ওই চালক বলেন, ‘আমাদের বেতন বিআরটিসি থেকেই হবে। অন্য যে বাস সার্ভিসগুলো রয়েছে তাদের বেতনও নিজ কোম্পানি থেকে হবে।’

দিলীপ কুমার নামে আরেক চালক বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের যাত্রীদের সেবার জন্য অনেক কাজ করতে হবে। যাত্রীদের সঙ্গে আমরা অবশ্যই ভালো ব্যবহার করব। এটা অন্য বাসগুলোর মতো হবে না।

‘এই বাস সার্ভিসে কেউ দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেন না। ১০ মিনিট পরপর এ বাস ছাড়বে। যাত্রীরা লাইনে দাঁড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে বাসে উঠবেন। যাত্রীদের যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে বিষয়টি আমরা দেখব। যাত্রীদের কাছে এই সার্ভিসকে জনপ্রিয় করে তোলা আমাদের মূল লক্ষ্য।’

চালকদের জন্য ইউনিফর্ম নিয়ে নগর পরিবহনের আরেক চালক নাসির হোসেন বলেন, ‘আগে নগরে বাস সার্ভিস এ রকম না থাকলেও বিআরটিসির ভলভো বাসগুলোতে আগে পোশাক ছিল। ডিউটি অবস্থায় পোশাক থাকা মানে আমার নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়া। এর মধ্য দিয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি।’

ওই চালক আরও বলেন, ‘এই বাস সার্ভিসে চালকদের জন্য পোশাক অবশ্যই একটি ভালো উদ্যোগ। আমার গলায় কার্ড থাকলে যে কেউ বুঝতে পারবেন আমি কর্তব্যরত এবং আমার সঙ্গে কেউ আর কথা বলবেন না।’

নগর পরিবহনে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২.১৫ পয়সা। যাত্রাপথ ২৮ কিলোমিটার। ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত রুটে বাসের টিকিট কাটতে ২৫টি কাউন্টার থাকবে। সবাইকে টিকিট কেটেই বাসে উঠতে হবে। সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা; সর্বোচ্চ ভাড়া ৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর