রাজশাহীর চারঘাট ও বাঘার তিন ইউনিয়নে ভোট শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। তাদের মধ্যে একজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়ন এবং চারঘাট উপজেলার হলিদাগাছি ও শলুয়া ইউনিয়নের তিন কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।
বাউসা ইউনিয়নের বাউসা বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই মেম্বার পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে মেম্বার প্রার্থীসহ ৮ জন আহত হয়েছেন।
চারঘাট উপজেলার হলিদাগাছি বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক ভোটারকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
শলুয়া ইউনিয়নের শিবপুর ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
বাউসা বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মেম্বার (সদস্য) প্রার্থী আখের উদ্দিন ও সোহেল রানার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
স্থানীয়রা জানান, কেন্দ্রের বাইরে দুই পক্ষে প্রায় আধাঘণ্টা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে। দুই পক্ষই লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে মেম্বার পদপ্রার্থী আখেরসহ ৮ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে জুয়েল আলী, আলম হোসন, সাগর ও লিখনকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তেমন কিছু নেই। দুই মেম্বার প্রার্থীর মধ্যে বাউসায় হালকা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আমরা ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে এটি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। ভোটের পরিস্থিতি স্বভাবিক আছে।’
ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, ‘যা কিছু ঘটেছে তা কেন্দ্রের বাইরে। ভোটগ্রহণ স্বাভাবিক।’
সকাল ১০টার দিকে চারঘাট উপজেলা হলিদাগাছি কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় মোতালেব মণ্ডল নামের এক ভোটার হামলার শিকার হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, সকালে ভোট দিয়ে বের হওয়ার সময় ধারাল অস্ত্র নিয়ে কয়েকজন মিলে তার ওপর হামলা চালায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখান থেকে মোতালেবকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
চারঘাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল আলম জানান, দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন ভালো হচ্ছে। হলিদাগাছি কেন্দ্রে হামলার ঘটনা তিনি জানেন না। তবে সেখানে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল বলে তিনি শুনেছেন।
তিনি জানান, সকাল ১০টার দিকে শলুয়া ইউনিয়নের শিবপুর ভোকেশনাল কেন্দ্রে প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে। এতে কয়েকজন আহতও হন।
তবে কোথাও ভোটগ্রহণে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি বলে জানান এই নির্বাচন কর্মকর্তা।