ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে আগুনে পুড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি ছিল না বলে দাবি করেছেন ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা।
পুড়ে যাওয়া লঞ্চ পরিদর্শন করতে এসে রোববার দুপুর ১২টার দিকে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে এ দাবি করেন অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান (পিএসসি)।
তিনি বলেন, ‘লঞ্চটিতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থাকলে হতাহতের সংখ্যা এত বাড়ত না। জাহাজের চালক বা স্টাফরা দ্রুত লঞ্চটি কিনারায় ভিড়িয়ে নোঙর করতেন, এতে বহুযাত্রী মাটিতে নামার সুযোগ পেতেন। কিন্তু সে কাজটিও লঞ্চের চালক ও স্টাফরা করেননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নদীর পানি ব্যবহার করেই পাম্প মেশিনের মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা যেত, সেটিও করেননি তারা। আমাদের তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তদন্ত শেষ হলে আগুনের সূত্রপাতের কারণ জানানো হবে।’
ঝালকাঠির পোনাবালীয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় সুগন্ধা নদীতে বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে, নিখোঁজ শতাধিক। আর আহত অনেককে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ডুবে যাওয়া লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিল তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। বিআইডব্লিউটিএ থেকে জানানো হয়েছে, লঞ্চটিতে প্রায় ৪০০ যাত্রী ছিল। তবে লঞ্চ থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অনেকে বলছেন, এই লঞ্চে যাত্রী ছিল ৮০০ থেকে এক হাজার।