ঠাকুরগাঁও সদরের মোহম্মদপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভোটাররা।
ভোটাররা জানান, যেখানে কেন্দ্র দেয়া হয়েছে সেখানে একটি মাদরাসা ছিল। এটি বন্ধ হয়ে গেছে ১০ থেকে ১২ বছর আগে। জরাজীর্ণ টিনসেডের বিল্ডিংটি এখন পরিত্যক্ত। দেয়ালের পলেস্তরা খসে পড়ছে। এর দরজা-জানালা কিছুই নেই, ঘরের ভেতর থেকে দেখা যায় খোলা আকাশ।
এ ছাড়া কেন্দ্রটিতে নেই কোন টিউবওয়েল, বাথরুম। ফলে বেকায়ফায় পড়তে হচ্ছে ভোটারদের।
এমন চরম ভোগান্তির মধ্যে কেন্দ্রটিতে চলছে ভোট গ্রহণ।
সরেজমিনে দেখা যায়, কেন্দ্রটিতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাররা। এখানে মোট তিনটি কক্ষে তিনটি বুথে চলছে ভোট গ্রহণ।
নিউজবাংলাকে ভোটার রকোনুজ্জামান রাজা বলেন, ‘এটি রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসা ছিল। ১০ থেকে ১২ বছর আগে বন্ধ হয়ে যায় এটি। সেই থেকে আর পরিচর্যা করা হয় না ঘরটির।’
ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটার সৈয়দা তাহমিনা বলেন, ‘এখানে কোন টিউবওয়েল নেই, কোন বাথরুম নেই। এতক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। এখানে আমরা মহিলারা একদম বেকায়দায় পড়ে গেছি। তাই তাড়াহুড়া করছি। এতে কক্ষে ভিড় তৈরি হচ্ছে।’
আরেক ভোটার রাজ্জাক রাজ আমান বলেন, ‘যাদের ভোটকে মহামূল্যবান বলে আখ্যায়িত করি আমরা, আজ তাদের জন্য এমন একটি কেন্দ্র। যা মানবিকতার পরিপন্থী।
‘একটি ভোটকেন্দ্র এমন হলে ভোট দেয়ার আমেজ থাকে না। দরজা, জানালা ঠিক নাই, এটা কোন কেন্দ্র হলো।’
কেন্দ্রে দায়িত্বরত আনসার সদস্য এহসাদ হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখানে না থেকে জঙ্গলে থাকলে অনেক শান্তিতে থাকতাম। শনিবার এসেছি, এমন দুর্ভোগে আগে কখনো পড়িনি। পানি খাওয়ার টিউবওয়েল নাই, বাথরুম নাই। শেষমেস স্থানীয় মানুষদের বিরক্ত করতে হয়েছে।’
নিউজবাংলাকে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জ্যোতিন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘এমন জরাজীর্ণ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে ভোটাররা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করছে। আমরা যারা দায়িত্বে আছি তাদের হাঁসফাঁস উঠে গেছে গতকাল রাত থেকে।’
‘এই কেন্দ্রে মোট ১ হাজার ৯৯ জন ভোটার রয়েছেন। কেন্দ্রটি পরিবর্তন বা সংস্কার জরুরি। আমি এই কেন্দ্র সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের জানাব।’
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২০টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ চলছে। সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।