ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ও বিজয়নগর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে ভোটকক্ষে টাকা পাওয়ার দায়ে দুই পোলিং এজেন্টকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বরখাস্ত করা হয়েছে একজন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে।
আখাউড়া ও বিজয়নগর উপজেলার দুটি কেন্দ্রে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
দণ্ড পাওয়া পোলিং এজেন্টরা হলেন আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুল বাশার ও বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের মহসিন মিয়া। হাবিবুলকে ছয় মাসের এবং মহসিনকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়ার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের উত্তর সরকারি বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঘোড়া মার্কা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুর রহমানের পোলিং এজেন্ট হাবিবুল বাশারকে তল্লাশি করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন ও ১৭ হাজার টাকার একটি খাম পাওয়া যায়।
খামের ওপর লেখা নম্বরটি ভোট কেন্দ্রেটির একজন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বলে নিশ্চিত হন পুলিশের সদস্যরা।
আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে পোলিং এজেন্ট হাবিবুলকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অলোক কুমারকে সঙ্গে সঙ্গে বরখাস্ত করেন।
বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর সরকারি বিদ্যালয় কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট মহসিনকে আটক করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় মহসিনের কাছ থেকে একটি মুঠোফোন এবং ৩৪ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই কেন্দ্রে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নবীনগর উপজেলা কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল সিদ্দিক নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে মহসিনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর কুমার দাস বলেন, ‘আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে দুই পোলিং এজেন্টকে কারাদণ্ড ও একজন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’