বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘুরল ঢাকা নগর পরিবহনের চাকা

  •    
  • ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ১১:৫৯

দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগের আওতায় প্রাথমিকভাবে বিআরটিসির ৩০টি ডাবল ডেকার এবং ট্রান্স সিলভা পরিবহনের ২০টি বাসসহ মোট ৫০টি বাস নামছে।

ঢাকার গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে চালু হলো বহুল প্রতীক্ষিত ‘ঢাকা নগর পরিবহন’-এর চাকা।

বাস রুট র‌্যাশনালাইজেশনের অংশ হিসেবে আপাতত ‘ঘাটারচর-কাঁচপুর’ রোডে এ সেবা চালু হলো।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে রোববার দুপুর ১২টার দিকে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ বাস রুট পাইলটিংয়ের উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ধীরে ধীরে এ সেবার বিস্তার হবে। আরও নতুন রুট যুক্ত হবে। রাজধানী ও আশপাশের এলাকার জন্য ৪২টি রুট করার পরিকল্পনা আছে।’

ঢাকা নগর পরিবহনের চালকদের শনাক্তে দেয়া হয়েছে ইউনিফর্ম ও আইডি কার্ড। প্রথমবারের মতো ঢাকায় গণপরিবহনের চালকদের এ ধরনের শৃঙ্খলায় আনা হলো।

ঢাকা নগর পরিবহনে ঘাটারচর-কাঁচপুর রুটে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দূরত্বে সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা; সর্বোচ্চ ভাড়া ৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রতি কিলোমিটার দুই টাকা ১৫ পয়সা হিসেবে ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। কেউ যদি এক স্টেশন থেকে ওঠে পরের স্টেশনে নামে, তাহলে তাকে ১০ টাকা ভাড়া দিতে হবে।

ঢাকা নগর পরিবহনের চালকেরা। ছবি: নিউজবাংলা

সিটি করপোরেশনের এই উদ্যোগের আওতায় প্রাথমিকভাবে বিআরটিসির ৩০টি ডাবল ডেকার এবং ট্রান্স সিলভা পরিবহনের ২০টি বাসসহ মোট ৫০টি বাস নামছে। দুই মাসের মধ্যে এতে যুক্ত হবে ১০০টি বাস। আর এ রুটে রুট পারমিটবিহীন কোনো বাস চলতে দেয়া হবে না।

ডিএসসিসি বলছে, শৃঙ্খলাবদ্ধ গণপরিবহন ব্যবস্থাপনায় নবদিগন্তের সূচনা হতে যাচ্ছে। ঢাকা মহানগরীর গণপরিবহনে ঢাকা নগর পরিবহন নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে তারা আশাবাদী।

রুটগুলো র‌্যাশনালাইজেশনের মাধ্যমে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ সেবা চালুর উদ্যোগটি ২০১৫ সালে নিয়েছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক।

২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর তার মৃত্যুর পর থেমে যায় এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন। দীর্ঘ অপেক্ষার পর তা আবার চালু করতে যাচ্ছেন দুই মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও আতিকুল ইসলাম।

এ বিভাগের আরো খবর