‘মেলাদিন ধরি অসুক, শরীলোত বল (শক্তি) নাই, ভোট আইচচে ভোট দিবেন খুব মন চাওচে। কাল ভাইয়োক কয়া (বলে) থুইচোং (রেখেছি) যে ভোট দেইম। আইজ আসি ভোট দিনুং। ভোটরদিয়ে ভালো নাগছে।’
বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানী ইউনিয়নের লোহানী বিদ্যালয় কেন্দ্রে রোববার সকাল নয়টা ছোট ভাই আলিম মন্ডলের কোলে চড়ে এসে ভোট দেন ৯০ বছর বয়সী আয়সা বেগম। ভোটদানের পর তাদের সঙ্গে কথা হয় নিউজবাংলার।
আলিম মন্ডল বলেন, ‘ভোট দিবে এই জন্যে কাইল (কাল) থাকি লোক দিয়ে খবর দেওচে। আজ ভোট দিয়ে মনে হয় শান্তি পাইল।’
একই কেন্দ্রে ভোট দেন ৮৫ বছর বয়সী ছকিনা বেওয়া। শরীরে শক্তি নেই, কানেও ঠিক মতো শোনেন না তিনি। তাই মেয়ে মাসুদার কাঁধে ভর দিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন।
তিনি বলেন, ‘খুব ভাল নাগিল ভোট দিয়ে, মেলাদিন পর ভোট দিনুং (দিলাম)। মাইয়ে (মেয়ে) নিযে আচ্চে। ভালো করি ভোট দিনুং।’
রংপুরের গংগাচড়া ও বদরগঞ্জ উপজেলায় ১৯ ইউনিয়নে চতুর্থ ধাপে ভোট শুরু হয়েছে সকাল ৮টায়, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
লোহানীর কামারপাড়া গ্রামের বিমলা রানী বলেন, ‘ভোট নাগছে থাকি ভোট দিন মন চাওছে…দাঁড়া হবার পাং না, তাও আসচি ভোট দিবের। অনেকক্ষণ ধরি লাইলোত বসি আচোং (আছি)। তারপর একজন মহিলা আনসার আসি ধরিল, তারপর ভোট দিনুং।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি। ভোট কেন্দ্রের বাইরে উৎসবে মাতছেন সব শ্রেণির মানুষ।
বদরগঞ্জ কেন্দ্রে নুরুজ্জামান নামে এক ভোটার বলেন, ‘ভোট নোয়ায় ঈদ ঈদ মনে হওচে। চারপাশোত উৎসব। ছেলে পেলে সবাই ভোটের কেন্দ্রের বাইরে।’
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চাই। এ জন্য কাজ করছি। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো সমস্যা নেই। আশা করছি সমস্যা হবে না। মানুষজন উৎসবের আমেজে ভোট দেবে।’