বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাঁতার না জানলেও নদীতে ঝাঁপিয়ে বেঁচে যান জবি ছাত্রী

  •    
  • ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ১০:০৬

ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফাতেমা ও তার বোন ভয় পেয়ে মায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে। মায়ের পরামর্শে তারা সাঁতার না জানলেও নদীতে ঝাঁপ দেয়। পরে তার ফুফাতো বোনের সহায়তায় কোনোভাবে নদীর তীরে ওঠে। দুজনের হার না মানা জীবনযুদ্ধের জন্য প্রাণে বেঁচে যায়।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার। গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিস্টার চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়ে গ্রামের বাড়ি বরগুনা যাচ্ছিলেন তিনি।

ঢাকায় অবস্থানরত এক ফুফাতো বোনকে সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর সদরঘাট নৌ টার্মিনাল থেকে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ওঠেন।

মধ্যরাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে চলন্ত লঞ্চে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। সাঁতার না জানা ফাতেমা আক্তার এ সময় মায়ের পরামর্শে আগুন থেকে বাঁচতে ঝাঁপ দেন নদীতে। ততক্ষণে অগ্নিদগ্ধ হন তিনি।

সাঁতার না জানলেও অন্যের সহায়তায় পাড়ে উঠতে সক্ষম হন ফাতেমা। জবির ব্যবস্থাপনা বিভাগের এই শিক্ষার্থী বর্তমানে ঝালকাঠির সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করার পরিকল্পনা করছে তার পরিবার।

পরিবারের বরাত দিয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফাতেমা ও তার বোন ভয় পেয়ে মায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে। মায়ের পরামর্শে তারা সাঁতার না জানলেও নদীতে ঝাঁপ দেয়। পরে তার ফুফাতো বোনের সহায়তায় কোনোভাবে নদীর তীরে ওঠে। দুজনের হার না মানা জীবনযুদ্ধের জন্য প্রাণে বেঁচে যায়।’

তিনি জানান, আগুনে ফাতেমার হাত-পায়ের অনেকাংশ পুড়ে গেছে। দীর্ঘক্ষণ নদীর পানিতে থাকায় অধিক ঠান্ডার কারণে শ্বাসকষ্টেও ভুগছেন।

রোববার সকালে তার বাবা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করবে বলে জানিয়েছেন।

ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘ফাতেমার পরিবারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক আমি যোগাযোগ করে তার বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। অন্য সুযোগ-সুবিধার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার পাশে থাকবে।’

ফাতেমার মা-বাবা দুজনই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী।

একই বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজা প্রিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাতেমা বরগুনা যাওয়ার পথে লঞ্চ দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। তার জন্য সবার কাছে আমরা দোয়া চাই। সে আমাদের গেটম্যান পান্না মামার মেয়ে। যে কোনো প্রয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাশে থাকবেন।’

এ বিভাগের আরো খবর