ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী লঞ্চে দগ্ধ এক অন্তঃসত্ত্বা নারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত সন্তান প্রসব করেছেন।
শনিবার ভোরের দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে একটি মৃত মেয়ে সন্তান প্রসব করেন তিনি।
দগ্ধ ৩৫ বছর বয়সী জেসমিন আক্তারকে এখন চিকিৎসা দেয়া দেয়া হচ্ছে। তার শরীরের ১২ শতাংশ পুড়ে গেছে।
জেসমিনের মামা মামুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা জেসমিন ভোরের দিকে একটি মেয়ে সন্তান প্রসব করে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত সন্তানটি আমরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
এই নবজাতককে ঢাকার কেরানীগঞ্জের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন জানান, প্রাকৃতিকভাবেই জেসমিনের গর্ভপাত হয়েছে। নবজাতকটিকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেসমিনের স্বজনেরা জানিয়েছেন, তাদের বাড়ি কেরানীগঞ্জে। ঝালকাঠির লঞ্চে আগুনে পুড়ে তার বোনের মৃত্যু হয়েছে; ভাই দগ্ধ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে এখন পর্যন্ত ওই আগুনের ঘটনায় ১৫ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে তিন নারীকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের প্রাণহানির কথা জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
পুড়ে যাওয়া লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিলেন, তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছে, লঞ্চটিতে প্রায় ৪০০ যাত্রী ছিলেন। তবে লঞ্চ থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অনেকে বলছেন, নৌযানটিতে যাত্রী ছিলেন ৮০০ থেকে এক হাজার।