বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জড়িয়ে ধরে মৃত্যু, শেষ শয্যাতেও একসঙ্গে মা-সন্তান 

  •    
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ২২:৪০

যুব রেড ক্রিসেন্ট সদস্য মো. মুছা বলেন, ‘দুটি কবরে দুই মা ও তাদের দুই সন্তানকে দাফন করা হয়েছে। এই দুই মা মৃত্যুর সময় তাদের সন্তানদের আঁকড়ে ছিলেন। দগ্ধে মৃত্যু হলেও তাদের আলাদা করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে এভাবে দাফন করা হয়েছে।’

মৃত্যুর পরও আলাদা করা যায়নি দুই মা ও তাদের দুই সন্তানকে। দুটি কবরে মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে আছে তারা।

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বৃহস্পতিবার বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০-এ আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে ছিলেন তারা। তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

ঝালকাঠি থেকে শুক্রবার রাতে বরগুনায় আনা ৩৭ মরদেহের সঙ্গে ছিলেন এই চারজন। তাদের মধ্যে ১৪ জনকে শনাক্ত করতে পারেন স্বজনরা।

বাকি ২৩ জনকে বরগুনা সদরের ঢলুয়া ইউনিয়নের পোটকাখালী সম্মিলিত কবরস্থানে শনিবার দুপুরে দাফন করা হয়। বরগুনা যুব রেড ক্রিসেন্ট ও রোভার স্কাউট বরগুনার সদস্যরা স্থানীয়দের সহায়তায় ২১টি কবরে তাদের দাফন করেন।

যুব রেড ক্রিসেন্ট সদস্য মো. মুছা বলেন, ‘দুটি কবরে দুই মা ও তাদের দুই সন্তানকে দাফন করা হয়েছে। এই দুই মা মৃত্যুর সময় তাদের সন্তানদের আঁকড়ে ছিলেন। দগ্ধে মৃত্যু হলেও তাদের আলাদা করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে এভাবে দাফন করা হয়েছে।’

ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় সুগন্ধা নদীতে বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের প্রাণহানির কথা জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিখোঁজ শতাধিক। আহত অনেককে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

পুড়ে যাওয়া লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিল, তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছে, লঞ্চটিতে প্রায় ৪০০ যাত্রী ছিল।

তবে লঞ্চ থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অনেকে বলছেন, নৌযানটিতে যাত্রী ছিল ৮০০ থেকে এক হাজার।

এ বিভাগের আরো খবর