ভোলা সদরের পূর্ব ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন ছোটনের প্রচার-প্রচারণায় দফায় দফায় হামলা, মাইক ভাঙচুর ও পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ছোটনের।
শনিবার বিকেলে নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নৌকার সমর্থকরা আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালান। এতে নারীসহ ১৩ জন আহত হন। গুরুতর আহত নাহিদ, অপু, আরিফ ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।’
তিনি বলেন, ‘দুই দিন আগেও নৌকার সমর্থকরা আমার প্রচারণার মাইক ভেঙেছেন। শুক্রবার রাতে তারা আমার নির্বাচনি পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন। বহিরাগত ক্যাডার বাহিনী আমার নির্বাচনি কার্যালয়ের সামনে এসে নানা হুমকি দেয়।’
পঞ্চম ধাপে ভোলা সদর উপজেলার ১২ ইউনিয়নে ভোট ৫ জানুয়ারি।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী সোহরাওয়ার্দী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার ভাই ও কর্মী-সমর্থকদের ব্যাপারে আনারস প্রতীকের প্রার্থীর অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ইউনিয়নে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। সকালে আমার কর্মীরা এলাকায় নির্বাচনি পোস্টার লাগাতে গেলে হামলা চালানো হয়। এতে একজন গুরুতর আহত হন।’
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন বলেন, ‘ইলিশায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।