লেটস সিনেমা স্লোগানে এবার নাটোরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ‘গ্লোবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভাল বাংলাদেশ’।
‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়া দেশের চলচ্চিত্র সংসদ সিনেমা বাংলাদেশের আয়োজনে ২৬ থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই উৎসব চলবে।
নাটোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এই উৎসবে দেশ-বিদেশের ৭১টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
উৎসবের স্থানীয় আয়োজক নাটোরের চলচ্চিত্র সংসদ ‘নাটোর ফিল্ম ক্লাব’।
লক্ষ্মীপুর, রংপুর, ময়মনসিংহ ও বান্দরবানের পর এটি এই উৎসবের পঞ্চম আসর।
রোববার সকালে উৎসবের উদ্বোধন করবেন নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। উৎসবসংশ্লিষ্ট নানা আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন খ্যাতনামা চিত্রনির্মাতা আবু সাইয়িদ, গিয়াসউদ্দিন সেলিম, আরিফুর রহমানসহ অনেকে।
উৎসবের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগে ১০১টি দেশের তরুণদের নির্মিত ১ হাজার ৪৮০টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল।
উৎসবের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকি, নির্মাতা প্রসূন রহমান, জসিম আহমেদ, বিজন ইমতিয়াজ, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ফিল্ম ক্রিটিকস (ফিপরেস্কি) সদস্য সাদিয়া খালিদ ও স্পেনের স্বনামধন্য নির্মাতা ক্রিস্টিনা ট্রেনাস।
উৎসব প্রযোজক হেমন্ত সাদীক জানান, প্রয়াত লেখক হাসান আজিজুল হকের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবারের উৎসবে তিনটি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
এগুলো হলো হাসান আজিজুল হকের গল্প অবলম্বনে আকরাম খান নির্মিত চলচ্চিত্র খাঁচা, তার জীবন ও কর্ম অবলম্বনে প্রসূন রহমান নির্মিত তথ্যচিত্র এই পুরাতন আখরগুলি ও আহসান কবীর লিটন নির্মিত গল্পলোকের চিত্রকর।
প্রদর্শনী শেষে সংশ্লিষ্ট পরিচালক ও কলাকুশলীরা দর্শকের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর সেশনে অংশ নেবেন।
এ ছাড়া সোমবার আমন্ত্রিত চলচ্চিত্র বিভাগে প্রদর্শিত হবে এন রাশেদ চৌধুরী নির্মিত চলচ্চিত্র চন্দ্রাবতী কথা।
উৎসব পরিচালক জিসান মাহাদি জানান, ২০১৮ সাল থেকে ভারতীয় উপমহাদেশের চলচ্চিত্রের পথিকৃৎ হীরালাল সেনের নামে একটি পুরস্কারের প্রবর্তন করেছে গ্লোবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভাল বাংলাদেশ।
এবার বাংলাদেশি তরুণদের নির্মিত দুই শতাধিক চলচ্চিত্র জমা পড়েছে ‘হীরালাল সেন শ্রেষ্ঠ বাংলাদেশী চলচ্চিত্র’ বিভাগে। এর মধ্য থেকে প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত ১৭টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
এ ছাড়া উৎসবের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হবে চারটি চলচ্চিত্র নির্মাণবিষয়ক মাস্টারক্লাস। এতে স্ক্রিপ্ট রাইটিং, আর্ট অফ ডিরেকশন, প্রডাকশন ডিজাইন এবং ডিস্ট্রিবিউশন নিয়ে আলোচনা করবেন বরেণ্য চিত্রনির্মাতা ও প্রযোজকরা।
২৮ ডিসেম্বর সমাপনী দিনে বিচারকের রায়ে পুরস্কার পাওয়া শ্রেষ্ঠ সাতটি চলচ্চিত্রের নাম ঘোষণা করা হবে।
উৎসবে প্রতিদিন তিনটি করে প্রদর্শনী হবে। উৎসবের চলচ্চিত্র দেখতে টিকিটের দরকার নেই বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।