বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুমিল্লার সাক্কুর পর খুলনার মঞ্জুকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি

  •    
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৯:৫৫

মাস তিনেক আগে খুলনা বিএনপির কমিটি গঠনে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার কথা জানিয়ে তারেক রহমানকে চিঠি দিয়েছিলেন মঞ্জু। এরপর চলতি মাসের শুরুতে খুলনা মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে মঞ্জুকে বাদ দিয়ে সভাপতি করা হয় আগের জেলা কমিটির সভাপতি শফিকুল আলমকে

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর পর এবার খুলনা সিটি করপোরেশনের সবশেষ নির্বাচনে দলের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিএনপি।

খুলনায় বিএনপির রাজনীতিতে প্রভাবশালী এই নেতা দলের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

শনিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়। বিএনপির নেতারা এই সিদ্ধান্তের পেছনে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের কথা জানালেও বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি।

মঞ্জুকে অব্যাহতি দিয়ে খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত অনিন্দ্য ইসলাম অমিতও এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন। সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডুও একই কথা বলেছেন।

গত অক্টোবরে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেয় বিএনপি। তবে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তা জানাজানি হয়।

মেয়র মনিরুল হক সাক্কু

এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে মঞ্জুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কারণ সম্পর্কে বিএনপি কিছু না জানালেও খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটি গঠন নিয়ে মঞ্জুর আপত্তির বিষয়টি সামনে এসেছে।

মঞ্জু গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিন মাস আগে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে ২৯ পাতার একটি আবেদন জমা দেয়া হয়েছিল। তাতে খুলনা অঞ্চলের দল গঠনে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা হয়েছে জানিয়ে তার প্রতিকার চাওয়া হয়।

এরপর গত ৯ ডিসেম্বর খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। কমিটিতে মহানগর বিএনপির সভাপতি হিসেবে মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনিকে বাদ দেয়া হয়।

মহানগর কমিটির নতুন আহ্বায়ক করা হয় আগের জেলা কমিটির সভাপতি শফিকুল আলমকে। আর জেলা কমিটির আহ্বায়ক করা হয় আগের সাধারণ সম্পাদক আমির এজাজ খানকে।

নজরুল ইসলাম মঞ্জু

কমিটি থেকে বাদ পড়ায় ১২ ডিসেম্বর খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন মঞ্জু। তিনি ত্যাগী নেতাদের বাদ দেয়ার অভিযোগ আনেন। তিনি কমিটি পুনর্গঠনের দাবি জানান। এর দুই দিন পর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে তাকে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি।

বহিষ্কারের বিষয়ে মঞ্জুর মন্তব্য জানতে পারেনি নিউজবাংলা। একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

নজরুল ইসলাম মঞ্জু ২০০১ সালে খুলনা-২ (সদর) আসন থেকে বিএনপির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে সারা দেশে বিএনপির বিপর্যয়েও আসনটি তিনি ধরে রাখেন।

২০১৮ সালের খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাকে প্রতীক দেয় বিএনপি। তবে তিনি ৬৭ হাজার ৯৪৬ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেকের কাছে হেরে যান। তবে ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনে ফল প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। এই ফলের বিরুদ্ধে মামলা করার ঘোষণা দিলেও পরে অবশ্য তিনি আইনি পথে হাঁটেননি।

এ বিভাগের আরো খবর