বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কক্সবাজারে ‘ধর্ষণ’: হোটেল ম্যানেজার রিমান্ডে

  •    
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৮:১৯

রিয়াজ উদ্দিন কক্সবাজারের জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার। ওই হোটেলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে।

কক্সবাজারে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার হোটেল ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে চার দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

তাকে শনিবার বিকেলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হলে বিচারক হামিমুন তাসনিম তাকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক রুহুল আমিন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রিয়াজ উদ্দিন কক্সবাজারের জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার। ওই হোটেলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে।

‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে এক নারীর স্বামী সদর থানায় ওই মামলা করেন। তাতে চারজনের নাম উল্লেখ ও তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মামলায় নাম উল্লেখ করা অন্য আসামিরা হলেন কক্সবাজার শহরের মধ্যম বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ শফি ওরফে ইসরাফিল হুদা জয় ওরফে জয়া ও মেহেদী হাসান বাবু। তারা এখনও গ্রেপ্তার হননি।

প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিকের বিরুদ্ধে এর আগেও ইয়াবা, ছিনতাইসহ নানা অপরাধের অভিযোগে ১৬টি মামলা রয়েছে।

এদিকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ অভিযোগ তোলা নারী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হামীমুন তানজীনের আদালতে শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে তিনি এ জবানবন্দি দেন।

তদন্তকারী ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ওই নারী আদালতকে জানান, তার সন্তান জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। সন্তানের চিকিৎসার জন্য অন্তত ৪ লাখ টাকা প্রয়োজন। সেই টাকা জোগাড় করতেই তিন মাস আগে তারা কক্সবাজারে আসেন। কক্সবাজারে তিন মাস ধরে তারা বিভিন্ন হোটেলে রুম ভাড়া করে থাকছেন বলেও জবানবন্দিতে জানান ওই নারী।

জবানবন্দিতে তিনি বলেন, আশিক তার স্বামীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। সে টাকা না দেয়ার কারণেই কক্সবাজারের একটি হোটেলের সামনে থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঘটনার পর বিষয়টি কেবল র‌্যাবকে জানিয়েছিলেন বলেও জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন ওই নারী।

এদিকে অভিযুক্ত আশিকসহ মামলার সব আসামিকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান।

তিনি শুক্রবার রাতে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভুক্তভোগী নারী আদালতে জবানবন্দিতে বলেছেন তিনি ধর্ষণের শিকার। তাই তার সুবিচার নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশিক পলাতক রয়েছে। আমরা তাকে খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

‘প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি সে কক্সবাজার ছেড়ে পালিয়েছে। তবে সে বেশি দিন পালিয়ে থাকতে পারবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর