চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের দেহাটি গ্রামে পারিবারিক কলহে দেবরের লাথিতে শাহারুন নেছা নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দেবর সাহেব আলীকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শাহারুন নেছা। রাতেই গোপনে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।
শাহারুন উপজেলার দেহাটি গ্রামের ভ্যানচালক মোশারফ হোসেনের স্ত্রী।
মোশারফ হোসেন বলেন, ‘আমি ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাই। বাড়ির রাস্তা নিয়ে আমার ভাই সাহেব আলীর সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে শুক্রবার দুপুরে শাহারুন নেছা ও সাহেব আলীর তর্ক হয়। একপর্যায়ে সাহেব আলীর লাথিতে আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
‘রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। আমরা শাহারুনের মরদেহ রাতেই বাড়িতে নিয়ে আসি। সকালে দাফনের কথা ছিল।’ এ বিষয়ে শাহাপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক জমির হোসেন জানান, হত্যার অভিযোগের ভিত্তিতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, ঘটনার পর অভিযুক্ত সাহেব আলীকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনও কেউ অভিযোগ করেননি।