বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘আমরা যেন দ্বীন দরিদ্রকে আপন করে নিই’

  •    
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৪:৪৭

ঢাকা মহাধর্ম প্রদেশের আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ বলেন, ‘যিশু আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা যেন দ্বীন দরিদ্র মানুষের কাছে যাই, তাদেরকে আপন করে নিই। কারণ তিনি বলেছেন যে, আমি সেবা পেতে নয়, সেবা দিতে এসেছি। তিনি পাপী-তাপী, অস্পৃশ্য, সমাজে যারা বঞ্চিত তাদের সঙ্গেও মেলামেশা করতেন।’

সারা বিশ্বের মতো ব্যাপক আয়োজনে দেশেও উদযাপিত হচ্ছে যিশুর জন্মদিন বা বড়দিন। আজ থেকে ২ হাজার ২১ বছর আগে মরিয়মের গর্ভে বেথেলহেমের জীর্ণ গোশালায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন ঈশ্বর তনয়।

খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, যিশু এসে মানুষদের এই শিক্ষা দিয়েছেন যে, ঈশ্বর সবাইকে ভালোবাসেন, তাই মানুষও যেন একে অপরকে ভালোবাসে, ক্ষমা করে এবং একে অন্যের সেবা করে। এই কাজগুলো যারা করেন তাদের অন্তরে ঈশ্বর বাস করেন।

শনিবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে হলি রোজারি চার্চের জপমালা রাণী গির্জায় বড়দিনের তাৎপর্য তুলে ধরে এসব কথা বলেন ঢাকা মহাধর্ম প্রদেশের আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ।

প্রার্থনা শেষে তিনি বলেন, ‘যিশু আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা যেন দ্বীন দরিদ্র মানুষের কাছে যাই, তাদেরকে আপন করে নিই। কারণ তিনি বলেছেন যে, আমি সেবা পেতে নয় সেবা দিতে এসেছি। তিনি পাপী-তাপী, অস্পৃশ্য, সমাজে যারা বঞ্চিত তাদের সঙ্গেও মেলামেশা করতেন।’

আর্চবিশপ আরও বলেন, ‘যিশু এ শিক্ষাও দিয়েছেন, তোমরা পাপকে ঘৃণা করো পাপীকে নয়। প্রভু যিশুখ্রিষ্ট এ ধরাতে এসেছিলেন শান্তি স্থাপন করতে, সম্পৃতি স্থাপন করতে পারেন। আর সে জন্য আমরা প্রত্যাশা করি, প্রভু যিশুখ্রিষ্টের আগমন, তার জন্মতিথি আমাদের মধ্যে বয়ে আনুক অনেক শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য।’

প্রার্থনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশ ও জাতির কল্যাণের কামনা করা হয়। পাশাপাশি পৃথিবী যেন করোনা থেকে মুক্তি লাভ করতে পারে, পৃথিবীতে যেন শান্তি নেমে আসে, সে প্রার্থনাও করা হয়।

ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে, এমনকি দেশের বাইরের মানুষও অংশ নেন সকাল ৯টায় তেজগাঁওয়ের গির্জার প্রার্থনায়।

জেনিফার ডি প্যারিস কাজের সূত্রে ঢাকার বাইরে থাকেন। বড়দিন উপলক্ষে ঢাকায় এসেছেন এবং পরিবারের সঙ্গে দিনটি উদযাপন করছেন।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমাদের আনন্দ ২০ ডিসেম্বর থেকেই শুরু হয়ে যায়। বড়দিনে পরিবার, স্বজন এবং বন্ধুদের সঙ্গে কাটাব।’

প্রার্থনায় অংশ নেন সব বয়সীরাই। প্রার্থনা শেষ করে একে অপরের সঙ্গে দেখা করেন তারা। তেজগাঁওয়ে চার্চটি যেন পরিণত হয় মিলন মেলায়। রাত পর্যন্ত আড্ডা, খাওয়া আর ঘুরে বেড়ানোর মধ্য দিয়ে তারা উদযাপন করবেন বড়দিন।

এ বিভাগের আরো খবর