সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের চিকিৎসা এবং মরদেহ পরিবহনের সব খরচ সরকার বহন করবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে শনিবার সকালে দগ্ধদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের চিকিৎসা চলছে। প্রত্যেকের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। অনেককে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। এসব রোগীর চিকিৎসা এবং মরদেহ পরিবহনের খরচ বহন করবে সরকার। দগ্ধদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে।’
এ সময় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্তলাল সেন জানান, এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের মধ্যে ২১ জনকে তাদের ওখানে ভর্তি করানো হয়েছিল। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে একজনের।
তিনি বলেন, ‘আজ সকালে তার মধ্যে হাবিব খান নামের একজন মারা গেছেন, একজন চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। বর্তমানে ১৯ জনের চিকিৎসা চলছে। দুজন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন। ভর্তি হওয়া প্রত্যেকের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আইসিইউতে থাকা একজনের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।’
চিকিৎসাধীন দগ্ধরা শঙ্কামুক্ত কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘পুড়ে যাওয়া রোগীদের অবস্থা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তারা শঙ্কামুক্ত কি না, তা এত দ্রুত বলা সম্ভব নয়।’
ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় সুগন্ধা নদীতে বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে, নিখোঁজ শতাধিক। আর আহত অনেককে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
দগ্ধ অনেককে ভর্তি করা হয়েছে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও। তাদের চিকিৎসায় এরই মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সাত সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল পাঠানো হয়েছে।
পুড়ে যাওয়া লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিল তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। বিআইডব্লিউটিএ থেকে জানানো হয়েছে, লঞ্চটিতে প্রায় ৪০০ যাত্রী ছিল। তবে লঞ্চ থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অনেকে বলছেন, এই লঞ্চে যাত্রী ছিল আট শ থেকে এক হাজার।