বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘পৃথিবীতে শান্তি নেমে আসুক’

  •    
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ১০:৩০

তেজগাঁওয়ে হলি রোজারি চার্চের জপমালা রাণী গির্জায় প্রার্থনা শেষে আর্চবিশপ বিজয় নিসফরাস ডি’ক্রুজ বলেন, ‘যীশুখ্রিষ্ট এ জগতে যখন ছিলেন এবং এখনও তার মাধ্যমে আমরা সুস্থতা লাভ করি। মুক্তি ও জীবন পাই। আমরা যেন করোনা থেকে মুক্তি লাভ করতে পারি। পৃথিবীতে শান্তি নেমে আসুক।’

যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বের মতো দেশেও পালিত হচ্ছে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। মানবজাতি, দেশ ও বিশ্বের শাস্তি-সমৃদ্ধি কামনায় গির্জাগুলোতে চলছে বিশেষ প্রার্থনা।

বড়দিন উপলক্ষে শনিবার রাজধানী তেজগাঁওয়ে হলি রোজারি চার্চের জপমালা রাণী গির্জায় সকাল ৭টায় শুরু হয় বিশেষ প্রার্থনা। প্রথম দফা শেষে দ্বিতীয় ও শেষ প্রার্থনা শুরু হয় ৯টায়।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রার্থনায় যোগ দেন শত শত খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী। তাদের সবারই চাওয়া ছিল দেশ ও মানবজাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি। ছিল করোনা মহামারি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার প্রার্থনাও।

প্রার্থনা শেষে আর্চবিশপ বিজয় নিসফরাস ডি’ক্রুজ বলেন, ‘এ বছর আমরা জাতির পিতা জন্মশত বার্ষিকী ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি। আমরা আমাদের সবচেয়ে বড় পার্বণের দিনে দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করছি।

তিনি আরও বলেন, ‘যীশুখ্রিষ্ট এ জগতে যখন ছিলেন এবং এখনও তার মাধ্যমে আমরা সুস্থতা লাভ করি। মুক্তি ও জীবন পাই। আমরা যেন করোনা থেকে মুক্তি লাভ করতে পারি। পৃথিবীতে শান্তি নেমে আসুক।’

ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, স্রষ্টার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে ২৫ ডিসেম্বর বেথেলহেমে জন্মেছিলেন যীশুখ্রিষ্ট। দিনটি ধর্মাবলম্বীদের জন্য সবচেয়ে বড় উৎসব।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা যথাযথ ধর্মীয় আচার, আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করছেন। করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমে গেলেও সীমিত আকারে করা হয়েছে আয়োজন।

শুক্রবার রাত থেকেই আনন্দের সময়টি উদযাপন শুরু হয়েছে বিশেষ প্রার্থনার মধ্য দিয়ে। রমনা চার্চে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে হয় বিশেষ প্রার্থনা।

বড়দিনের মাহাত্ম তুলে ধরে ফাদার লিটন ইউবার্ট গমেজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যীশুখ্রিষ্ট পৃথিবীতে এসেছেন মানুষের মর্যাদার জন্য। আমরা বিশ্বাস করি পিতা ঈশ্বর আমাদের সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু আমরা পাপ করার মধ্য দিয়ে মর্যাদা নষ্ট করেছি। যীশুখ্রিষ্ট এই জগতে এসে তিনি আমাদেরকে ভালোবেসেছেন এবং ক্ষমা দিয়ে মানুষের মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখেছেন। এই মর্যাদা যেন সবাইকে দিতে পারি সেটাই বড়দিনের বড় বিষয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আনন্দের দিনে বলতে চাই আমরা সবাই যেন একসঙ্গে বসবাস করতে পারি। বাংলাদেশে যেন শান্তি-সম্প্রীতি অক্ষুন্ন থাকে। কিছু দিন আগে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি, সেই সর্বজনীন জাতীয়তাবোধ নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।’

এ বিভাগের আরো খবর