ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
বরিশাল নৌ-ফায়ার ষ্টেশনের দুবুরি দল শনিবার সকাল সোয়া ৯টায় উদ্ধার কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে নৌ-ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা বেলাল হোসেন। সাড়াদিন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এদিকে নিখোঁজ প্রিয়জনদের সন্ধানে স্বজনরাও ট্রলার নিয়ে নদীতে নেমেছেন। নিখোঁজদের ছবি নিয়ে নদীর পাড়ে পাড়ে ঘুরছেন তারা।
বরগুনার মো. সুমন হোসেন জানান, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে এখনও পাননি তিনি। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে শেষবারের মতো কথা বলেছেন স্ত্রী তাসলিমা আক্তারের সঙ্গে।
ঢাকার মুগদা থেকে আসা আয়শা আক্তার জানান, ভাই আরিফুর রহমান এবং ভাইয়ের চার বছরের মেয়ে কুলসুমকে হাসপাতালে খুঁজে না পেয়ে নদীর পাড়ে এসে বসে আছেন তিনি।
ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় সুগন্ধা নদীতে বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে, নিখোঁজ শতাধিক। আর আহত অনেককে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ডুবে যাওয়া লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিল তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। বিআইডব্লিউটিএ থেকে জানানো হয়েছে, লঞ্চটিতে প্রায় ৪০০ যাত্রী ছিল। তবে লঞ্চ থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অনেকে বলছেন, এই লঞ্চে যাত্রী ছিল আট শ থেকে এক হাজার।