ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা মেডিক্যালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত ব্যক্তির নাম হাবিব খান। বয়স ৪৫ বছর। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯ জনে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক শুক্রবার রাতে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে এক ব্রিফিংয়ে ঝালকাঠিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩৮ জন মারা যাওয়ার তথ্য জানান।
নিহতের স্ত্রী সায়রা খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামী বরগুনা ছেলের বাসায় বেড়াতে যাচ্ছিল, ঝালকাঠি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমার স্বামীকে বাঁচাতে পারলাম না।’
হাবিব খান পেশায় মুদি ব্যবসায়ী ছিলেন।
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আবাসিক ডাক্তার এস এম আইয়ুব হোসেন জানান, ‘হাবিব খান নামের যে ব্যক্তি মারা গেছেন তার শরীরে বার্নের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। লঞ্চে আগুনের ঘটনায় নদীতে লাফিয়ে পড়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।’
ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় সুগন্ধা নদীতে বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে, নিখোঁজ শতাধিক। আর আহত অনেককে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পুড়ে যাওয়া লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিল তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। বিআইডব্লিউটিএ থেকে জানানো হয়েছে, লঞ্চটিতে প্রায় ৪০০ যাত্রী ছিল। তবে লঞ্চ থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অনেকে বলছেন, এই লঞ্চে যাত্রী ছিল আট শ থেকে এক হাজার।
বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান শুক্রবার রাতে জানান, ঝালকাঠি জেনারেল হাসপাতাল থেকে মোট ৩৭ জনের মরদেহ বুঝে নিয়েছে বরগুনা জেলা প্রশাসন। এদের মধ্যে চারজনের মরদেহ ইতিমধ্যে স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। বাকি মরদেহ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, সকাল ১১টা পর্যন্ত এই মরদেহগুলো বরগুনা জেনারেল হাসপতালের মর্গে রাখা হবে। সকাল ১০টার মধ্যে কেউ মরদেহ শনাক্ত করতে পারলে তাকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।